ব্যাবিলনীয় সভ্যতা থেকে পরিচিত এই সূর্য
গ্রহণ । প্রায় ১০০০ খ্রিষ্টাব্দ পূর্বে সূর্য গ্রহণের পুর্বাভাস মানুষ দিতে পারত ।
ঐ সময়ে ক্যালেন্ডারে জ্যোতিষীরা সূর্য গ্রহণকে নিয়ে একটি আশ্চর্য মিল লক্ষ করেন ।
তারা দেখেন, প্রতি ১৮ বছর ১০ দিন পরপর সূর্য গ্রহণ পুনরাবর্তিত হয় । সেই থেকে
সারোস চক্র দিয়ে পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ গুলি চিহ্নিত করার প্রথা চালু হয় । সারোস
কথাতির ল্যাটিন অর্থ পুনরাবৃত্তি । ২২ জুলাই, বাংলাদেশ থেকে যে পূর্ণগ্রাস
সূর্যগ্রহণ দেখা যায়, তা ছিল ১৩৬ সারোসচক্রের ৭১টির মধ্যে ৩৭ তম গ্রহণ । প্রতিটি
সারোস চক্র প্রায় ৭৫টি গ্রহণে সমাপ্ত হয় । পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণে হঠাত দিনের বেলা
রাতের অন্ধকার নেমে আসে । সেই সাথে চারদিকের প্রাকৃতিক পরিবেশে হঠাত একটা পরিবর্তন
আসে । পাখিরা সন্ধার আভাস পেয়ে বনে ফিরে যেতে থাকে । হঠাত তাপমাত্রা কমতে থাকে ।
বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা নিরীক্ষায় দেখা যায়,
চন্দ্রগ্রহণের চেয়ে সূর্যগ্রহণ বেশিবার হয় । প্রতি সাতটি গ্রহণের ২টি চন্দ্রগ্রহণ
হলে বাকি ৫টিই সূর্যগ্রহণ । তবে অধিকাংশ সূর্যগ্রহণ সমুদ্রপৃষ্ঠ বা পর্বতমালার উপর
দিয়ে গেলে তা আমাদের চোখে পড়েনা । শুধুমাত্র লোকালয়ের মধ্য দিয়ে গেলেই তা আমাদের
চোখে পড়ে আর তাতেই যন্ত্রপাতি দিয়ে বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা চালানো যায় । এই
সুযোগে বিজ্ঞানীরা তাদের নিজ নিজ গবেষণা চালানোর সুযোগ নেন । যদিও কৃত্রিম ভাবে
করা গ্রাফ দিয়ে সূর্যকে ঢেকে ছটাকমণ্ডলের ছবি তোলা বা পর্যবেক্ষন করা সম্ভব ।  
সম্পাদনায়
জিওন আহমেদ
ইইই চুয়েট

Leave a Reply