পদার্থের মধ্যদিয়ে বিদ্যুৎ পরিবহন পদার্থের একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য । বিদ্যুৎ পরিবহনের ভিত্তিতে সকল পদার্থকে চারটি ভাগে ভাগ করা হয়:

  • পরিবাহী
  • অপরিবাহী
  • অর্হপরিবাহী
  • অতিপরিবাহী

পরিবাহী

পরিবাহী পদার্থ সমূহ খুব সহজে বিদ্যুৎ পরিবহন করে। আমরা যে বৈদ্যুতিক তার ব্যবহার করি তা আসলে পরিবাহী পদার্থ দিয়ে তৈরী। যে কোনো ধাতব জিনিসই পরিবাহী হয়, কিন্তু আমরা সাধারণত যে বৈদ্যুতিক তার দেখি সেগুলো তৈরী হয় তামা কিংবা অ্যালুমিনিয়াম দিয়ে। 

অপরিবাহী বা অন্তরক

এসকল পদার্থি বিদ্যুৎ পরিবহন করতে পারেনা। তামার তারের উপর যে প্লাস্টিকের বা পিভিসি পদার্থের আবরণ থাকে সেটা আসলে অপরিবাহী বা অন্তরক। 

অর্ধ-পরিবাহী

পরিবাহী এবং অপরিবাহী দুই পদার্থের মাঝে এমন কিছু পদার্থ আছে  যারা বিশেষ অবস্থায় খুব ভাল বিদ্যুৎ পরিবহন করে, আবার কখনও নগন্য পরিমানে বিদ্যুৎ পরিবহন করে । এরা হল অর্ধপরিবাহী বা সেমিকন্ডাক্টর । বহুল ব্যবহৃত কিছু সেমিকন্ডাক্টরের মধ্যে রয়েছে: সিলিকন, জার্মেনিয়াম, গ্যালিয়াম-আর্সেনাইড।

অতিপরিবাহী বা সুপারকন্ডাক্টর

স্বাভাবিকভাবে আমাদের মনে হবে, কোন পদার্থের মধ্যদিয়ে বিদ্যুৎ পরিবহনের সময় কিছু না কিছু রোধ বা বাধা থাকবে । কারন পদার্থের মধ্যদিয়ে বিদ্যুৎ পরিবহনের সময় ছুটে চলা আয়ন ইলেকট্রনগুলো নিজেদের এবং একে অপরের সাথে ধাক্কা লাগে । ফলে এখানে কিছু রোধ যুক্ত হয় ।

কিন্তু বিজ্ঞানে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে আবিস্কার হল অতিপরিবাহী বা সুপারকন্ডাক্টর । এসব পদার্থের মধ্যদিয়ে বিদ্যুৎ পরিবহনের সময় কোন রকম রোধ পাওয়া যায়না । অর্থাৎ শতভাগ বিদ্যুৎ পরিবহন করে থাকে । এ ধরনের পদার্থগুলোকে বলা হয় অতিপরিবাহী বা সুপারকন্ডাক্টর ।�

Leave a Reply