সৌরজগতের ভিতর অবস্থিত গ্রহ এবং অন্যান্য
অধিকাংশ বস্তু সূর্যের ঘূর্ণনের সাথে ঘড়ির কাঁটার বিপরীত দিকে ঘূর্ণায়মান থাকে । এই
দিকটি বোঝা যায় সুর্যের উত্তর মেরুর উপর অবস্থিত একটি বিন্দুর সাপেক্ষে । তবে এর
ব্যতিক্রমও রয়েছে । যেমন, হ্যালির ধূমকেতু । সুর্যের চারদিকে ঘূর্ণায়মান বস্তুসমুহ
কেপলারের গ্রহীয় গতির সূত্র মেনে চলে । প্রতিটি গ্রহ সূর্যকে উপবৃত্তের একটি
ফোকাসে রেখে উপবৃত্তাকার কক্ষপথে আবর্তন করে । বস্তুটি সূর্যের যত নিকটে আসে তার
গতিও তত বৃদ্ধি পায় । গ্রহ সমূহের কক্ষপথ প্রায় বৃত্তাকার যদিও কিছুটা উপবৃত্তের
আকৃতি বজায় থাকে । কিন্তু গ্রহাণু বা কাইপার বেষ্টনী বস্তুসমূহের কক্ষপথের আকৃতি
সম্পূর্ণ উপবৃত্তাকার । বৃহৎ দূরত্বের সাথে সঠিকভাবে খাপ খাওয়ানোর জন্য অনেকগুলো
প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে যে, কক্ষপথ গুলো একটি আরেকটি থেকে সমদূরত্বে অবস্থিত ।
কিন্তু বর্তমান প্রমাণ অনুসারে বাস্তবতা বেশ ভিন্ন । একটি গ্রহ সূর্য থেকে যত দূরে
অবস্থিত, তার কক্ষপথ এর পূর্ববর্তী গ্রহের কক্ষপথ থেকে তত দূরে অবস্থিত । কক্ষীয়
দূরত্বের মধ্যে এই পার্থ্যকের উপর ভিত্তি করে তাদের মধ্যে আন্তঃসম্পর্ক প্রতিষ্ঠার
চেষ্টা করা হয়েছে অনেকবার । বোদের তত্ত্বের মোট তত্ত্বগুলো এ জন্যই গ্রহণযোগ্যতা
পায়নি ।  
সম্পাদনায়
মোহাম্মাদ জিওন আহমেদ
ইইই চুয়েট

Leave a Reply