কৌণিক গতির জন্য গতিবিদ্যার রৈখিক চলরাশিগুলো ব্যবহার করা সম্ভব হয়না । যেমন কৌণিক গতির জন্য আমরা যদি রৈখিক সরণ ব্যবহার করি তবে সমস্যার সৃষ্টি হয় । সমস্যাটা হল- রৈখিক সরণ অনুসারে যেকোন ব্যাসার্ধের বৃত্তের চারিদিকে সম্পূর্ণ এক পাক ঘুরে আসলে বস্তুর মোট রৈখিক সরণ শূন্য হয়ে যায় । অথচ বস্তু বৃত্তের পরিধির সমান দূরত্ব অতিক্রম করে ফেলেছে । তাই কৌণিক গতির হিসাবের সময় আমরা রৈখিক গতির সরণ হিসাব না করে কৌণিক সরণ বা কোণের মান হিসাব করে থাকি । যেমন বস্তুর বৃত্তের চারিদিকে সম্পূর্ণ একপাক ঘুরে আসলে কৌণিক সরণ 2π, আরও একপাক ঘুরে আসলে কৌণিক সরণ 4π, আবারও ঘুরলে 6π । এভাবে বাড়তে থাকে ।

এভাবে কৌণিক গতির জন্য জন্য রৈখিক বেগের পরিবর্তে আমরা কৌণিক বেগ, রৈখিক ত্বরণের পরিবর্তে কৌণিক ত্বরণ ব্যবহার করে থাকি ।

একইভাবে, রৈখিক গতির ভরবেগকে কৌণিক গতির ক্ষেত্রে কৌণিক ভরবেগ ধরা হয় । রৈখিক গতির বলকে কৌনিক গতির জন্য টর্ক ধরা হয় । রৈখিক গতিতে ব্যবহৃত ভরকে কৌণিক গতির ক্ষেত্রে জড়তার ভ্রামক ধরা হয় ।

কৌণিক ভরবেগ

কৌণিক গতির ক্ষেত্রে রৈখিক গতির ভরবেগের সমতুল্য রাশিকে কৌণিক ভরবেগ বলা হয় । বস্তুর ঘুর্ণনের ব্যাসার্ধ এবং রৈখিক ভরবেগকে ভেক্টর গুণ করে কৌণিক ভরবেগ নির্ণয় করা হয় ।

টর্ক

কৌণিক গতির ক্ষেত্রে রৈখিক গতির বলের সমতুল্য রাশিকে টর্ক বলা হয় । বস্তুর ঘুর্ণনের ব্যাসার্ধ এবং রৈখিক বলকে ভেক্টর গুণ করে টর্ক নির্ণয় করা হয় ।  

জড়তার ভ্রামক

কৌণিক গতির ক্ষেত্রে রৈখিক গতির ভরের সমতুল্য রাশিকে জড়তার ভ্রামক বলা হয় । বস্তুর ভরকে বস্তুর ঘুর্ণনের ব্যাসার্ধের বর্গ দিয়ে গুণ করে জড়তার ভ্রামক নির্ণয় করা হয় । 

Leave a Reply