কখনো
কি আমরা চিন্তা করে দেখেছি, এইযে আমরা কথা বলছি তথা বিভিন্ন শব্দ করছি, আলো
জ্বালাচ্ছি, তাপ উৎপন্ন করছি প্রভৃতি । এরা প্রত্যেকেই শক্তি যা আমরা পরিবেশে ছেড়ে
দিচ্ছি । শক্তির সংরক্ষণ সুত্র বলে, শক্তির কোন সৃষ্টি বা ধ্বংস নেই । তাহলে আমরা
যে পরিবেশে এত শক্তি ছেড়ে দিচ্ছি, এগুলো যাচ্ছে কোথায় । প্রশ্ন আবার তুলি । আমরা
প্রতিনিয়ত শব্দ উৎপন্ন করে তা পরিবেশে ছেড়ে দিচ্ছি । কোন প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই আমরা
এগুলো তো ফেরত নিচ্ছিনা । তাহলে প্রশ্ন হল, এই শক্তিগুলো যাচ্ছে কোথায় ? এগুলো কি
কোনভাবে আমাদের কাছে ফিরে আসছে ? নাকি পরিবেশেই মিশে যাচ্ছে ? ভেবে দেখলাম, এগুলো
তো আমরা ফিরে পাচ্ছিনা । পরিবেশেই মিশে যাচ্ছে ধরে নিলাম । কিন্তু এমন কোন পাত্র
কি থাকা সম্ভব, যাতে ইচ্ছা করলেই অসীম পরিমাণ শক্তি রাখা যাবে ? যদি সম্ভব না হয়
তবে এই শক্তি যাচ্ছে কোথায় । ভেবে দেখি, এই শক্তির পরিমাণ কিন্তুোটেই কম নয় । আমরা
যাই করছি তাতেই শক্তি আবশ্যক আর এই শক্তির সবটুকুই মিশে যাচ্ছে পরিবেশে । যদি
পরিবেশেই মিশে গিয়ে থাকে, থাকে এর কি কোন সীমা নেই ? থাকলে তা কবে শেষ হবে ? আর
শেষ হলেই বা তার পরিণতি কি হবে ? এতগুলো প্রশ্ন মনের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে । কেউ কেউ
হয়ত উত্তর দেবে, এটাই হচ্ছে এনট্রপি বা বিশৃঙ্খলা । আমার এইটা নিয়ে জবাব, এটা তো
শুধুই একটা দেয়া নাম যে এই শক্তিগুলো পরিবেশে মিশে যাচ্ছে ফলে পরিবেশে একটি
বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হচ্ছে । কিন্তু আমার প্রশ্ন এমন কোন দেয়া নাম নয় । প্রশ্ন হল,
শক্তি যাচ্ছে কোথায় ? আর যদি পরিবেশেই গিয়ে থাকে তবে এর শেষ পরিণতি কেমন হবে বা
বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের এই শক্তি গ্রহণের সীমা কবে শেষ হবে এবং শেষ হলে কি ঘটবে ?
???

জিওন
আহমেদ

Leave a Reply