সরণ

নির্দিষ্ট দিকে কোন একটি বস্তুর অতিক্রান্ত দূরত্বকে ঐ বস্তুর সরণ বলে । 

সমত্বরণ বা সুষম ত্বরণ

সময়ের সাথে কোনো বস্তুর বেগ বৃদ্ধির হার বা ত্বরণ যদি সমান বা সুষম হয়, তাহলে সে ত্বরণকে সমত্বরণ বা সুষম ত্বরণ বলা হয়। যেমন অভিকর্ষের টানে মুক্তভাবে পড়ন্ত বস্তুর ত্বরণ হল সমত্বরণ বা সুষম ত্বরণ ।

অসম ত্বরণ বিষম ত্বরণ

সময়ের সাথে কোন বস্তুর বেগ বৃদ্ধির হার বা ত্বরণ যদি সমান না হয়, তাহলে সে ত্বরণকে অসম ত্বরণ বা বিষম ত্বরণ বলা হয়। যেমন গাড়ি, সাইকেল, রিক্সা ইত্যাদির ত্বরণ । সময়ের সাথে এসব যানবাহনের বেগ সমান হারে বাড়ে কিংবা কমে না ।

সম দ্রুতি বা সুষম দ্রুতি

কোনো বস্তু তার গতিকালে যদি সমান সময়ে সমান দূরত্ব অতিক্রম করে তাহলে সেই বস্তুর দ্রুতিকে সম দ্রুতি বা সুষম দ্রুতি বলে।

অসম দ্রুতি বা বিষম দ্রুতি

কোনো বস্তু তার গতিকালে যদি সমান সময়ে সমান দূরত্ব অতিক্রম না করে তাহলে সেই বস্তুর দ্রুতিকে অসম দ্রুতি বা বিষম দ্রুতি বলে।

সমবেগ বা সুষম বেগ

কোনো বস্তু গতিকালে যদি তার বেগের মান এবং দিক যদি পরিবর্তন না হয় অর্থাৎ বেগের মান ও দিক সুষম হয় তাহলে বস্তুর সেই বেগকে সমবেগ বা সুষম বেগ বলে।

অসম বেগ বা বিষম বেগ

কোনো বস্তু তার গতিকালে যদি তার বেগের মান বা দিক বা উভয়েই পরিবর্তন হয় অর্থাৎ সুষম না হয় তাহলে বস্তুর সেই বেগকে অসম বেগ বলে।

সাম্য বল

কোনো বস্তুর উপর একাধিক বল ক্রিয়া করলে যদি বলের লব্ধি শূন্য হয় তখন তাকে সাম্য বল বলা হয়।

অসাম্য বল

কোনো বস্তুর উপর একাধিক বল ক্রিয়া করলে যদি বলের লব্ধি শূন্য না হয়, বরং লব্ধির মান ও দিক থাকে, তখন এই ধরনের বলকে অসাম্য বল বলা হয়।

স্পর্শ বল

দুইটি বস্তুর মধ্যে প্রত্যক্ষ সংস্পর্শের মাধ্যমে যে বল ক্রিয়া করে, তাকে স্পর্শ বল বলে ।  যেমন আপনি যখন একটি চেয়ার টেনে আপনার কাছে নিয়ে যাচ্ছেন, এটি একটি স্পর্শ বল ।

অস্পর্শ বল

দুটি বস্তুর প্রত্যক্ষ সংস্পর্শ ছাড়াই যে বল ক্রিয়া করে তাকে অস্পর্শ বল বলে। যেমন কোন রকম সংস্পর্শ ছাড়াই একটি চুম্বক আর একটি চুম্বককে নিজের দিকে আকর্ষন করে ।

তাৎক্ষনিক বেগ

কোন একটি তাৎক্ষনিক মুহুর্তে বস্তুর বেগকে বা সরণের হারকে তাৎক্ষনিক বেগ বলে । যেমন বাইক চালানর সময় বাইকের মিটারে আমরা বেগের যে মান দেখে থাকি, সেটি বাইকের তাৎক্ষনিক বেগ ।

গড়বেগ

একটি নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট দূরত্বকে বস্তু গড় যে বেগে অতিক্রম করে তাকে বস্তুর গড়বেগ বলে । এক্ষেত্রে বস্তুর মোট অতিক্রান্ত দূরত্বকে মোট চলার সময় দিয়ে ভাগ করা হয় । 

Leave a Reply