একদিন রুবাইদ চট্টগ্রাম কাপ্তাই রাস্তার মাথা থেকে সিদ্ধান্ত নিল, সে এখান থেকে চট্টগ্রাম জিইসি মোড় পর্যন্ত সুষম বেগে যাবে৷ অর্থাৎ তার বেগ একটি নির্দিষ্ট পরিমানে স্থির থাকবে ৷ কমবেও না, বাড়বেও না ৷ যেমন কথা তেমনই কাজ৷ সে ঠিক বিকেল ৪টার সময় কাপ্তাই রাস্তার মাথা থেকে প্রতি সেকেন্ডে ৩মিটার বেগে জিইসির উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করল৷ এই বেগে রুবাইদ সেদিন বিকেল ৫টা ৪০মিনিটে জিইসির মোড়ে গিয়ে পৌছালো ৷ তার যেতে মোট সময় লাগলো ১০০মিনিট ৷ এবার সে রাহাতকে সাথে নিয়ে কাপ্তাই রাস্তার মাথা থেকে জিইসি পর্যন্ত রাস্তাটিকে সুষমভাবে ১০০টি ভাগে ভাগ করে ১০০টি জায়গায় ১০০টি খুটি পুতে দিল ৷ রাহাত তাকে জিজ্ঞেস করল, এই খুটিগুলো পুতে কি হবে ? হিসেবটা অনেক সহজ হলেও রুবাইদ উত্তরটা অনেক কঠিন করে দিল ৷ রুবাইদ রাহাতকে বলল, "তুমি কাপ্তাই রাস্তার মাথা থেকে ৩মিটার সেকেন্ড বেগে যাত্রা করে জিইসি মোড়ে পৌছা পর্যন্ত যেকোন সময় আমাকে যদি ফোন করে জিজ্ঞেস কর, তুমি কোথায় আছো ? আমি শুধু সময় দেখেই বলে দিতে পারবো, তুমি কত নাম্বার খুটির গোড়ায় আছো ৷" হিসেবটা যে কারও জন্যই সহজ ৷ কাপ্তাই রাস্তার মাথা থেকে ৩মিটার/সেকেন্ড বেগে যাত্রা করলে জিইসি পৌঁছাতে ১০০মিনিট সময় লাগে এবং সেই দুরত্বকে রুবাইদ সমান ১০০টি ভাগে ভাগ করেছে ৷ তাহলে আমরা নির্দিধায় এটা বলতে পারি, রাহাত প্রতি মিনিট পরপর একটি করে খুটি অতিক্রম করবে৷ কাজেই রাহাত যদি সন্ধ্যা ৬টায় একই বেগে যাত্রা করে এবং ৬টা ৩১মিনিটে রুবাইদকে ফোন করে, এটা বলা খুবই সহজ যে রাহাত ৩১নাম্বার খুটির পাশে আছে ৷ তাপগতিবিদ্যায় থার্মোমিটার এরকম একটি সহজ গানিতিক ফর্মুলার উপর প্রতিষ্ঠিত ৷ একটি সুক্ষ্ম ছিদ্র বিশিষ্ট নলের এক প্রান্তে এক ফোটা পারদ রেখে সেই প্রান্ত সহ অপর প্রান্ত বন্ধ রেখে আমরা যদি নলের ভিতরের এই পারদকে তাপ দেই, তাহলে পারদ তাপমাত্রা বাড়ার সাথে সাথে ফুলে উঠবে এবং নলের ভিতরে বেশি জায়গার প্রয়োজন হবে বিধায়, পারদ নলের ছিদ্র বেয়ে বেয়ে উপরের দিকে উঠেতে থাকবে ৷ এভাবে যতই তাপমাত্রা বাড়ানো হবে, পারদ ততই ফুলে উঠবে এবং নলের ছিদ্র বেয়ে উপরে উঠবে ৷ পারদের একটি বিশেষ বৈশিষ্ঠ্য হল,…