তরল
কিংবা বায়বীয় পদার্থ ঘনত্বের পার্থক্যের জন্য এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় প্রবাহিত
হয় । তাই তরল কিংবা বায়বীয় পদার্থকে প্রবাহি বা প্রবাহি পদার্থ বলা হয় । আপনারা
অনেকেই হয়তো জানেন, নদীতে স্রোত প্রবাহিত হওয়ার সময় নিচের পানির তুলনায় উপরের
পানির বেগ বেশি থাকে । মনে করেন, অনেকগুলো বই একটির উপর আর একটি রেখে একটি স্তূপ
তৈরি করা হল । এখন যদি এর উপরের বইটি টেনে সরাতে বলা হয় আপনি সহজেই এটি সরাতে
পারবেন কিন্তু নিচের একটি বই টেনে সরাতে বললে বেশি বল প্রয়োগ করতে হবে । কারণ
উপরের বইগুলো নিচের বইগুলোকে চাপ দিয়ে ধরে আছে । অথবা বলা যেতে পারে, ঘর্ষণ বল
বেড়ে গেছে । ঠিক তেমনি নদীর উপরের পানিতে ঘর্ষণ বল কম থাকায় উপরের পানির গতিবেগ
বেশি হয় । অপরদিকে নিচের পানিতে ঘর্ষণ বল বেশি থাকায় নিচের পানির গতিবেগ কম হয় ।
অনুরূপভাবে বায়ুর ক্ষেত্রেও এটি প্রযোজ্য । তরল বা বায়বীয় পদার্থের মধ্যকার এই
ঘর্ষণ বলটিকে ইন্ধন জোগায় তরল বা বায়বীয় পদার্থের একটি অণুর সাথে অন্য অণুটির
আকর্ষণ বল । যাকে বলা হয় সান্দ্রতা বা সান্দ্র বল । এটি তরল কিংবা বায়বীয় পদার্থের
একটি বিশেষ ধর্ম ।

জিওন আহমেদ

Leave a Reply