চিত্রে একটি সরল দোলক দেখানো হয়েছে । এখানে সুতার
প্রান্তে যে গোলকটি বাঁধা হয়েছে তাকে বব বলা হয় । যেহেতু এটি একটি সুষম গোলক তাই
আমরা বলতে পারি, এর সমগ্র ভর কেন্দ্রে কেন্দ্রীভূত আছে বা এর ভর কেন্দ্র কেন্দ্রে
অবস্থিত । এখন যদি বলা হয়, সুতা বাঁধার প্রান্ত এবং ঝুলানো ভরের মধ্যবর্তী দূরত্ব
কত ? এই দূরত্ব হবে, সুতায় বাঁধা প্রান্ত
A বিন্দু থেকে ববের কেন্দ্র পর্যন্ত । যাকে আমরা কার্যকর দৈর্ঘ্য বলি ।
তাহলে দাঁড়াল, 
সরল দোলকের
কার্যকর দৈর্ঘ্য = 
সুতার
দৈর্ঘ্য(
L) + ববের ব্যাসার্ধ(r)

চিত্রে সরল দোলকটির ববটিকে যদি তুমি এর সাম্যবস্থা
থেকে
Aএর দিকে টান তাহলে দোলকটি নিজে অভিকর্ষের দরুন
ববটিকে সাম্যবস্থার দিকে টানবে ।
Aএর
দিকে সরণ যত বাড়বে, সাম্যবস্থার দিকে এর টান তত বেড়ে যাবে । ফলে এটিকে
A এর দিকে টানা বন্ধ করে দিলে এটি সাম্যবস্থা বাO বিন্দুর দিকে ফিরে আসতে শুরু করবে । কিন্তু ফিরে আসার গতিশক্তিতে এটি আবার
বিপরীত
B বিন্দুতে যেতে আরম্ভ করবে ।B বিন্দু থেকেO এর দিকে যাত্রা করে আবারA তে যাবে । এভাবে সরল দোলকটিA থেকেB এর মধ্যে দোল দিতে থাকবে
দোলকটিO থেকে যাত্রা করে A তে পৌঁছাবে তারপর আবার
AOB পথেB তে পৌঁছাবে এবংO তে ফেরত আসবে
তাহলে এর একটি পূর্ণ পর্যায়
সম্পন্ন হবে
এই পর্যায়ে তার যে পরিমাণ সময় ব্যয় হয় তাকে বলা হয় সরল দোলকটির
পর্যায়কাল
তাহলে দাঁড়াল, পর্যায়কালের অর্ধেক সময় এটিOA বরাবর এবং বাকি
অর্ধেক সময় এটি
OB বরাবর চলে

লক্ষ কর, যখন দোলকটিO থেকে A এর দিকে যায়, তখন অভিকর্ষ
ববটিকে
A থেকেO এর দিকে টানবে
দোলকটির OA বরাবর সরণ যত বেশি হবে, এই টান AO বরাবর তত বেশি হবে । তাহলে আমরা
বলতে পারি, ববের উপর প্রযুক্ত বল সরণের সমানুপাতিক কিন্তু দিক বিপরীত মুখী ।
অর্থাৎ,

অর্থাৎ ত্বরণ সরণের সমানুপাতিক এবং বিপরীত মুখী ।

উপরোক্ত বৈশিষ্ঠের উপর ভিত্তি করে আমরা সরল দোলন গতিকে এভাবে সংজ্ঞায়িত করতে
পারি, যদি কোন দোলনরত কণার গতি এমন হয় যেন এটি দোলন কালের অর্ধেক সময় একটি
নির্দিষ্ট দিকে এবং বাকি অর্ধেক সময় তার বিপরীত দিকে চলে তবে তার গতিকে বলা হয় সরল
দোলন গতি বা সরল ছন্দিত গতি ।

যদি কোন দোলনরত কণার গতি এমন হয় যেন তার ত্বরণ সরণের সমানুপাতিক এবং
বিপরীতমুখী তবে তার গতিকে বলা হয় সরল দোলকের গতি বা সরল দোলন গতি বা সরল ছন্দিত গতি ।

 

Leave a Reply