গতি পরিচিতি
  বলবিদ্যার যে শাখায় বলের ক্রিয়াশীল বস্তুর গতি নিয়ে আলোচনা
করা হয় তাকে গতিবিদ্যা বলা হয়
§ গতির প্রকারভেদঃ ১ পরম গতি
                   আপেক্ষিক গতি
         
মাত্রাগত ভাবেঃ ১
এক
মাত্রিক গতি
                            দ্বিমাত্রিক গতি
                                    ৩। ত্রিমাত্রিক গতি ।
আলোচনার শুরুতে
গতি সংক্রান্ত কিছু সংজ্ঞা মনে রাখা জরুরীঃ
প্রসঙ্গ কাঠামোঃ যে দৃঢ় বস্তুর সাথে তুলনা করে আমরা অন্য বস্তুর অবস্থান , স্থিতি , গতি ইত্যাদি নির্ণয় করি তাকে
প্রসঙ্গ কাঠামো বলে
গতিঃ সময়ের পরিবর্তনের সাথে পারিপার্শ্বিকের সাপেক্ষে যখন কোন বস্তুর অবস্থানের
পরিবর্তন ঘটে তখন বস্তুর এ অবস্থাকে গতি বলে
স্থিতিঃ সময়ের পরিবর্তনের সাথে পারিপার্শ্বিকের সাপেক্ষে যখন কোন বস্তুর অবস্থানের
পরিবর্তন ঘটে না তখন বস্তুর এ অবস্থাকে
স্থিতি বলে
পরম গতিঃ পরম স্থিতিশীল প্রসঙ্গ বস্তুর সাপেক্ষে কোন বস্তুর গতিকে পরম গতি বলে
পরম স্থিতিঃ পরম স্থিতিশীল প্রসঙ্গ বস্তুর সাপেক্ষে কোন বস্তুর স্থিতিকে পরম স্থিতি বলে
রৈখিক গতিঃ কোন বস্তু যদি কোন সরল রেখা বরাবর গতিশীল হয় তবে তার গতি কে রৈখিক গতি বলে
ঘূর্ণন গতিঃ যখন কোন বস্তু কোন নির্দিষ্ট বিন্দু বা রেখা থেকে বস্তু কণা গুলোর দূরত্ব
অপরিবর্তিত রেখে ঐ বিন্দু বা রেখাকে কেন্দ্র করে ঘোরে তখন সে বস্তুর গতিকে ঘূর্ণন
গতি বলে
চলন গতিঃ কোন বস্তু যদি এমন ভাবে চলতে থাকে যাতে করে বস্তুর সকল কণা একই সময়ে একই দিকে
সমান দূরত্ব অতিক্রম করে তাহলে ঐ গতিকে চলন গতি বলে ।
পর্যাবৃত্ত‌ গতিঃ কোন গতিশীল বস্তুর গতি যদি এমন হয় যে, এটি এর গতি পথে কোন নির্দিষ্ট বিন্দুকে নির্দিষ্ট সময় পর পর একই দিক থেকে
অতিক্রম করে তবে বস্তুর সে গতিকে পর্যাবৃত্ত গতি বলে ।
পর্যায়কালঃ পর্যাবৃত্ত গতি সম্পন্ন কোন কণা যে নির্দিষ্ট সময় পর পর নির্দিষ্ট বিন্দুকে
নির্দিষ্ট দিক দিয়ে অতিক্রম করে সেই সময় কে পর্যায়কাল বলে ।
স্পন্দন গতিঃ পর্যাবৃত্ত গতি সম্পন্ন কোন কণা যদি পর্যায়কালের অর্ধেক সময় কোন নির্দিষ্ট
দিকে এবং বাকি অর্ধেক সময় একই পথে তার বিপরীত দিকে চলে তবে তার এ গতিকে স্পন্দন
, দোলন বা কম্পন গতি বলে ।
স্কেলার রাশিঃ যে রাশিকে সম্পূর্ণ রুপে প্রকাশের জন্য শুধু মানের প্রয়োজন হয় কিন্তু দিকের
প্রয়োজন হয় না তাকে স্কেলার রাশি বলে । যেমনঃ কাজ
, দ্রুতি, তাপমাত্রা, তড়িৎ
বিভব ইত্যাদি ।
ভেক্টর রাশিঃ যে রাশিকে সম্পূর্ণ রুপে প্রকাশের জন্য মান এবং দিক উভয়ের প্রয়োজন হয় তাকে
ভেক্টর রাশি বলে । যেমনঃ সরণ
, তড়িৎ
প্রাবাল্য ইত্যাদি ।
সরনঃ নির্দিষ্ট দিকে বস্তু যে দূরত্ব অতিক্রম করে তাকে সরণ বলে ।
দ্রুতিঃ একক সময়ে বস্তুর অবস্থান পরিবর্তনের হার কে দ্রুতি বলে ।
গড় বেগঃকোন বস্তুর প্রথম ও শেষ বেগের গাণিতিক গড় মানকে গড় বেগ বলে
তাৎক্ষণিক বেগঃসময়ের ব্যাবধান শূন্যের কাছাকাছি হলে গড় বেগের সীমান্তিক মানকে তাৎক্ষণিক বেগ
বলে
মধ্যবেগঃকোন বস্তুর প্রথম এবং শেষ বেগের অভিমুখ একই হলে তার প্রথম এবং শেষ বেগের
অর্ধেককে মধ্যবেগ বলে
সমবেগঃ কোন বস্তু যদি সমান সময়ে সমান পথ অতিক্রম করে তবে তার বেগকে সমবেগ বলে [বস্তুর উপর ক্রিয়াশীল
বলের মান ও অভিমুখ একই থাকলে এমনটি ঘটে]
অসমবেগঃকোন বস্তু যদি সমান সময়ে সমান পথ অতিক্রম না করে তবে তার বেগকে অসমবেগ বলে [বস্তুর উপর ক্রিয়াশীল
বলের মান ও অভিমুখ একই না থাকলে এমনটি ঘটে]
ত্বরণঃকোন গতিশীল বস্তুর বেগ পরিবর্তনের হারকে ত্বরণ বলে
তাৎক্ষণিক ত্বরণঃসময়ের ব্যাবধান শূন্যের কাছাকাছি হলে কোন বস্তুর বেগ পরিবর্তনের হারকে
তাৎক্ষণিক ত্বরণ বলে

§  মহাবিশ্বে সকল গতি-ই আপেক্ষিক, সকল স্থিতি-ই আপেক্ষিক  কোন গতি-ই পরম নয়, পরম নয় কোন স্থিতি-ই 

Leave a Reply