বিজ্ঞানী নিউটন বল সম্পর্কিত তিনটি সূত্র দিয়েছেন যা নিউটনিয়ান পদার্থবিজ্ঞান কিংবা পদার্থবিজ্ঞানের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ।

নিউটনের প্রথম সূত্র

নিউটনের বলের প্রথম সূত্রটি হলঃ বাহ্যিক কোন বল ক্রিয়া না করলে স্থির বস্তু স্থির থাকবে, গতিশীল বস্তু সুষম বেগে সরল পথে চলতে থাকবে ।

অর্থাৎ বাহির থেকে কোন বল প্রয়োগ করা না হলে বস্তুর গতীয় অবস্থার কোন পরিবর্তন হবেনা । এখানে বাহ্যিক বল বলা হচ্ছে এ জন্য যে, বল অবশ্যই বাহির থেকে প্রয়োগ করতে হবে । বস্তুর ভিতর থেকে নয় । অর্থাৎ আপনি যদি একটি বাসের মধ্যে বসে বাসেই বল প্রয়োগ করেন, তবে হবেনা । বরং বাহির থেকে বাসটিকে ধাক্কা দিতে হবে ।

বাস্তবিক অর্থে নিউটনের প্রথম সূত্রটি বলের প্রকৃতি সম্পর্কে ধারণা দেয় । তা হল- বস্তুর গতীয় পরিবর্তন ঘটাতে হলে অবশ্যই বল প্রয়োগ করতে হবে । তাই আমরা এখান থেকে বলের সংজ্ঞা দিতে পারি ।

পাশাপাশি এই সূত্রটি জড়তার ধারণা দেয় । বল ক্রিয়া না করলে বস্তু যেমন আছে তেমন থাকবে, এই ধারণা থেকে চাইলে আমরা জড়তার সংজ্ঞাও দিতে পারি ।

বলের সংজ্ঞা

যা বস্তুর গতির কিংবা গতির দিক পরিবর্তন করে বা করতে চেষ্টা করে তাই বল ।

জড়তার সংজ্ঞা

বস্তুর যেমন আছে তেমন থাকতে চাওয়ার যে প্রবণতা, তাই বস্তুর জড়তা । আর এই জড়তার পরিবর্তন ঘটাতে চাইলে আমাদের যা প্রয়োগ করতে হবে তাই বল ।

নিউটনের দ্বিতীয় সূত্র

নিউটনের বলের দ্বিতীয় সূত্রটি হলঃ বস্তুর ভরবেগের পরিবর্তনের হার প্রযুক্ত বলের সমানুপাতিক । বল যেদিকে ক্রিয়া করে, ভরবেগের পরিবর্তনও যেদিকে ঘটে ।

এখান থেকে আমরা বুঝতে পারি- বস্তুর উপর যত বেশি বল প্রয়োগ করা হবে, তার ভরবেগের পরিবর্তনও তত বেশি ঘটবে ।

নিউটনের তৃতীয় সূত্র

নিউটনের বলের তৃতীয় সূত্রটি হলঃ প্রত্যেক ক্রিয়ামূলক বলের সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়ামূলক বল আছে ।

নিউটনের তৃতীয় সূত্রটি আমাদের এই ধারণা দেয় যে- আমরা যেই ক্রিয়ামূলক বলই প্রয়োগ করিনা কেন, তার একটি সমানও বিপরীত প্রতিক্রিয়ামূলক বল থাকবে । অর্থাৎ আপনি যদি ১০ নিউটন বলে একটি দেওয়ালকে ধাক্কা দেন, দেওয়ালটিও ১০ নিউটন বলে আপনাকে বিপরীত ধাক্কা দেবে ।

নিউটনের দ্বিতীয় সূত্র থেকে প্রথম সূত্র

আমরা চাইলে গাণিতিকভাবে নিউটনের দ্বিতীয় সূত্র থেকে প্রথম সূত্রে আসতে পারি । এভাবে-

Leave a Reply