সাধারণত নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় কোন স্থানের বা আয়তনের যে পরিমাণ জলীয়বাষ্প ধারণ ক্ষমতা থাকে, সেই স্থানে সেই পরিমাণ জলিয়বাস্প থাকেনা । ধারণ ক্ষমতার চেয়ে তুলনামূলক কম থাকে । তাপমাত্রা বাড়তে থাকলে এই ধারণ ক্ষমতা বাড়তে থাকে, তাপমাত্রা কমতে থাকলে জলীয়বাষ্প ধারণ ক্ষমতা কমতে থাকে । যদি কখনও এমন হয়, ঐ স্থানের জলীয়বাষ্প ধারণ ক্ষমতা যত সেখানে সেই পরিমাণ জলীয়বাষ্প আছে, তবে আমরা বলতে পারি ঐ স্থানটি জলীয়বাষ্প দিয়ে সম্পৃক্ত ।

এখন আমরা যদি একটি আবদ্ধ আয়তন চিন্তা করি, যেটি একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় যে পরিমাণ জলীয়বাষ্প ধারণ করতে পারবে সেই পরিমাণ জলীয়বাস্প সেখানে নেই । বরং কিছুটা কম আছে । এখন যদি আমরা ঐ স্থানের তাপমাত্রা কমাতে থাকি, তবে তার জলীয়বাষ্প ধারণ ক্ষমতাও কমতে থাকবে । তাপমাত্রা কমাতে কমাতে আমরা ঐ স্থানের তাপমাত্রাকে এমন একটি তাপমাত্রায় স্থির করব, যখন স্থানটির জলীয়বাষ্প ধারণ ক্ষমতা তার মধ্যে উপস্থিত জলীয়বাষ্পের সমান । এই তাপমাত্রাটিকে আমরা বলে থাকি ঐ স্থানের শিশিরাংক ।

অর্থাৎ যে তাপমাত্রায় একটি স্থান তার মধ্যে উপস্থিত জলীয়বাষ্প দিয়েই সম্পৃক্ত সেই তাপমাত্রাটিই ঐ স্থানের শিশিরাংক । কাজেই শিশিরাংক একটি বিশেষ তাপমাত্রার নাম । 

Leave a Reply