প্লানেটারি নেবুলা বাNGC 6369 । যা সৌখিন জ্যোতির্বিদদের কাছে ‘খুদে ভূতুরে নীহারিকা’
নামে পরিচিত । কারণ, এটি মৃত্যু মুখে পতিত কেন্দ্রীয় নিস্প্রভ নক্ষত্রের চারপাশে
একটি ক্ষুদ্র ভুতুড়ে মেঘের মত আবির্ভুত হয় ।

আমাদের সূর্যের ভরের মত কোন একটি
নক্ষত্র যখন তার জীবনকালের শেষ কালে এসে পৌঁছায়, তখন তার আকার প্রসারিত হয়ে একটি
লোহিত দানবে পরিণত হয় । যাকে বলা হয় রেড জায়ান্ট । নক্ষত্রটির বাইরের স্তর মহাকাশে
ছড়িয়ে পড়লে লোহিত দানব পর্যায় শেষ হয় এবং এটি নিস্প্রভ নীহারিকা বা নেবুলায় পরিণত
হয় । কেন্দ্রের নক্ষত্রের বাকি কেন্দ্রীয় অবশেষ থেকে তখন চারদিকের গ্যাসের ওপর
অতিবেগুনী আলোর বন্যা বয়ে যেতে থাকে । নীহারিকার মূল দেহের বাইরের দুরবর্তি অংশে
তূলনামূলক নিষ্প্রভ গ্যাস গুচ্ছ দেখা যায়, যেগুলো নক্ষত্রটির মহাকাশে ছড়িয়ে পরার
শুরুর দিকে হারিয়ে গিয়েছিল । আমাদের সুর্য্যও এ ধরনের একটি নীহারিকার মত ছড়িয়ে
পড়তে পারে, তবে আগামি ৫ বিলিয়ন বছর আগে তার কোন সম্ভবনা নেই । নক্ষত্র থেকে এসব
গ্যাস সেকেন্ডে ১৫ মাইল বেগে প্রসারিত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে । এগুলো প্রায় ১০ হাজার বছর
পর আন্তঃনাক্ষত্রিক স্থানে ছড়িয়ে পড়ে । এরপর প্রায় কয়েক বিলিয়ন বছরে কেন্দ্রের নাক্ষত্রিক জলন্ত অবশেষ
ক্রমান্বয়ে ঠান্ডা হয়ে একটি ক্ষুদ্র শ্বেতবামন তারকায় পরিণত হয় এবং এক সময়
বিস্ফোরিত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে ।

সম্পাদনায়
স্টিফেন ডব্লিউ হকিং
অনুবাদ
জিওন আহমেদ
ইইই চুয়েট

Leave a Reply