নিউটনের
সমীকরণের লেখচিত্র ছিল উপবৃত্তের । কিন্তু তিনি সূর্যকে কেন্দ্র করে পৃথিবীর
ঘূর্ণনের কক্ষপথ বৃত্তাকার বলে উল্লেখ করেন । যদিও তার সূত্র উপবৃত্তের যৌক্তিকতা
দেয় । তার এই সীমাবদ্ধতাকে উল্লেখ করে বিজ্ঞানী কেপলার উপবৃত্তের ধারণা সহ আরও
দুইটি সহ মোট তিনটি সূত্র দেন । যা নিম্নরুপঃ

কেপলারের উপবৃত্তের সূত্র

পৃথিবী
সূর্যের চারদিকে বৃত্তাকার নয় বরং উপবৃত্তাকার কক্ষপথে ঘুরছে । যদি বৃত্তাকার পথের
কথা বলা হত
, আমরা নির্দ্বিধায় বলে দিতে পারতাম, সূর্য এই বৃত্তাকার কক্ষপথের কেন্দ্রে আছে । কিন্তু যেহেতু উপবৃত্তাকার
কক্ষপথের কথা বলা হয়েছে তাই প্রশ্ন থেকে যায়
, সূর্য এই
উপবৃত্তের কোথায় আছে
? এমন প্রশ্নের জবাবে কেপলার উল্লেখ
করেন
, “পৃথিবী সূর্যকে তার ফোকাসে রেখে একটি নির্দিষ্ট
উপবৃত্তাকার কক্ষপথে পরিভ্রমণ করছে ।

উপবৃত্তাকার
কক্ষপথের সূত্রের পরই প্রশ্ন থেকে যায়
, তাহলে এই
উপবৃত্তাকার কক্ষপথে গ্রহটির বেগ কেমন হবে
? এই প্রশ্নের
জবাব দেয় তার দ্বিতীয় সূত্র ।

কেপলারেরক্ষেত্রফলের সূত্র

মনে
কর
,
যেকোনো মুহূর্তে গ্রহটি একটি বিন্দুতে আছে এবং5 দিনে এটি অন্য বিন্দুতে চলে গেল । আবার যেকোনো মুহূর্তে এটি এক
বিন্দুতে ছিল এবং
5 দিনে এটি অন্য বিন্দুতে চলে গেল ।
গ্রহটির বেগ এমন হবে যেন
, এই দুই ক্ষেত্রেই গ্রহ ও
সূর্যের সংযোগকারী রেখার ক্ষেত্রফল সমান হয় কারণ এক্ষেত্রে সময় সমান ছিল । বুঝতেই
পারছো
, এমনটা হতে গেলে গ্রহটি যখন সূর্যের কাছাকাছি থাকবে
তখন এই বেগ বেশি হবে এবং দূরে থাকবে
, তখন এর বেগ কম হবে ।

তাহলে
সূত্রটি দাঁড়ালো
, “গ্রহ ও সূর্যের সংযোগকারী
ব্যাসার্ধরেখা সমান সময়ে সমান ক্ষেত্রফল উৎপন্ন করবে ।

এবার প্রশ্ন থেকে যায়, তাহলে গ্রহটির
পর্যায়কাল কেমন হবে
? অর্থাৎ কত দিনে এক বছর হবে । এ প্রশ্নের
জবাব পাওয়া যায় কেপলারের তৃতীয় সূত্র থেকে । যা পর্যায়কালের সূত্র নামে পরিচিত ।

কেপলারের পর্যায়কালের সূত্র

উপবৃত্তের
দুই পরিধি বরাবর যে রেখা
, তাকে বলা হয় উপবৃত্তের পরাক্ষ ।
এখন যদি গ্রহটির পর্যায়কালের সাথে সম্পর্ক হবে ।

Leave a Reply