বর্তমান আমরা এমন একটা সময়ে বসবাস করছি, যেখানে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সি বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আজকের দিনকে ছাড়িয়ে ঠিক কালকে কি নিয়ে আসবে সেটা আমাদের পক্ষে বলা অসম্ভব । আজ থেকে ঠিক দশ বছর আগে আমাদের কম্পিউটারগুলোর থেকে আমরা যা আশা করতাম না, সেগুলো সহ আরও অনেকগুলো জটিল সমাধান পাচ্ছি এই কম্পিউটারগুলো থেকে । ঠিক যেন কম্পিউটার হল এক যান্ত্রিক শিশু, যার ব্রেইন দিনে দিনে বেড়েই চলেছে । কিন্তু এটাও সত্যি, আমাদের কম্পিউটারগুলোর মস্তিস্ক এখন পর্যন্ত এতটাও উন্নত হয়নি, একটা কেঁচোর মস্তিস্ক যতটা উন্নত । যদিও কেঁচো কোন বুদ্ধিবৃত্তিক প্রাণী নয় ।

তবুও তো আমাদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আজকের দিনকে ছাড়িয়ে কালকে উন্নত থেকে উন্নততর হচ্ছে । এক্ষেত্রে আমাদের কম্পিউটারগুলো মুরের সূত্র মেনে চলে । এই সূত্র অনুসারে প্রতি ১৮ মাসে কম্পিউটারের গতি এবং জটিলতা দিগুণ হবে । আর যতদিন কম্পিউটারের মস্তিস্ক আমাদের মস্তিস্কের মত না হচ্ছে, কম্পিউটারের বুদ্ধিমত্তার এই সূচকীয় বৃদ্ধি চলতেই থাকবে । আমাদের মধ্যে অতি জটিল রাসায়নিক অণু ক্রিয়াশীল হওয়ার কারণে আমরা যদি বুদ্ধিমান হয়ে থাকি, তবে জটিল ইলেকট্রনিক সার্কিটও কম্পিউটারকে বুদ্ধিবৃত্তিক করে তুলবে । আর কম্পিউটার যদি এই পরিমাণ বুদ্ধিমান হতে পারে, তবে সেই কম্পিউটারটি অবশ্যই তার চেয়েও অধিক বুদ্ধিমান কোন কম্পিউটার তৈরি করতে সক্ষম হবে । যা হয়তো আমাদের মস্তিস্কের থেকেও বেশি উর্বর হবে । তবে আগামী ১০০ বছরে সেটা হবে বলে আমরা আশাবাদী হতে পারিনা । তবে আমাদের সেই স্বপ্নটা বাঁচিয়ে রাখতে হবে । আর সেই প্রযুক্তিকে ব্যবহার এবং নিয়ন্ত্রণের জন্যও আমাদের নিজেদেরকে প্রস্তুত করতে হবে ।

জিওনআহমেদ

Leave a Reply