প্রতিদিনের
একটা বিশাল সময় আমরা সোসাল মিডিয়ায় ব্যয় করি । কখনও ফেসবুক, কখনও টুইটার, কখনও
ইন্সটাগ্রাম, কখনও লিংকডইন, কখনও বা ইউটিউব । এগুলো এখন আমাদের প্রতিদিনের
শিডিউলের মধ্যে পরে গেছে । অনেকটা খাওয়া, ঘুম এসবের মতই । সোসাল মিডিয়াগুলোর প্রতি
আপনার এই দীর্ঘ্য অভিজ্ঞতায় যদি আপনাকে প্রশ্ন করা হয়, সোসাল মিডিয়াগুলোর মধ্যে কে
বেশি ইনটেলিজেন্ট বা বুদ্ধিমান ? তাহলে কি আপনি খুব বেশি অবাক হবেন ?

আমাদের
অনেকেরই মনে হতে পারে, সোসাল মিডিয়াগুলো হয়তো শুধুই একটা ওয়েবসাইট কিংবা অ্যাপের
মত । যেখানে এক একটা স্টেটমেন্টে কিছু কিছু ডাটা থাকে । কিন্তু এসবের বাইরেও এই
সোসাল মিডিয়াগুলো অনেকগুলো বুদ্ধিবৃত্তিক কাজ করে থাকে । সেগুলোও আমরা অনেকেই মাঝে
মধ্যে বুঝতে পারি । অনেকেই আবার সেটাকে নিয়ন্ত্রণ বোর্ডে বসে থাকা মানুষের কাজ বলে
মনে করি । মানুষের হস্তক্ষেপ অবশ্যই প্রয়োজন হয়, কিন্তু কোন রকম মানুষের হস্তক্ষেপ
ছাড়াও মিডিয়াগুলো অনেকগুলো বুদ্ধিমানের মত কাজ করে থাকে । যাকে আমরা আর্টিফিসিয়াল
ইন্টেলিজেন্স বলে থাকি ।

আপনি
স্প্যাম হয় এমন কোন কাজ করেন বা তাদের পলিসির আওতাভুক্ত
নয় এমন কোন কাজ করেন, তাহলে সাথে সাথে আপনাকে ধরে ফেলে । কপিরাইট ধরতে কোন মানুষের
করার প্রয়োজন হয়না ।

তবে এই বুদ্ধিমত্তার
পিছনে যা ব্যাকবন হিসেবে কাজ করে, তা হল ডাটা বেস । আপনি যদি এখনই গুগলে বা ফেসবুকে
গিয়ে টিশার্ট লিখে সার্চ দেন, একটু পরই আপনি যখন আপনার ফেসবুক টাইমলাইন স্ক্রল করবেন,
দেখবেন অনেকগুলো টি শার্টের বিজ্ঞাপন আপনার সামনে একের পর শো করছে ।

আপনি আপনার বন্ধুর
লিস্টে কাদেরকে অ্যাড করছেন ? কাদের ফলো করছেন ? তাদের আচরণ কেমন ? এসব অ্যানালাইসিস
করে ফেসবুক আমাদেরকে অনুরূপ বন্ধুদের সাজেস্ট করছে । আসলে এসবই হল ডাটাবেজের খেলা ।
তবে শুধু ডাটা থাকলেই হবেনা, সেগুলোকে ফিল্টারও ঠিকভাবে করতে হবে । আপনি যত সূক্ষ্মভাবে
ফিল্টার করতে সক্ষম হবে, আপনার মিডিয়ার বুদ্ধি ততই বেশি হবে । তাই তো ডাটা সায়েন্টিস্টরা
প্রতিনিয়ত এই ডাটাকে নিয়ে নতুন নতুন করে স্বপ্ন দেখছে । ডাটাকে কতভাবে ব্যবহার করে
আরও বুদ্ধুমান হওয়া যায় ।

জিওন আহমেদ

Leave a Reply