কোষের বার্ধক্য ও মৃত্যু যে সব প্রজাতির জীবে দ্রুত হয় সে সব জীবের জীবনকাল কম হয়। যাদের কোশের রসায়ন মৃত্যু বিলম্বিত হয় তাদের জীবনকাল দীর্ঘ হয়। এর পিছনে নানা কারণ রয়েছে। যেমন-

জিনের গঠনগত কারন । দেখা গেছে সে অনেক জিনেরর নির্দিষ্ট স্থানে মিথাইল গ্রুপ থাকার জন্য জিনের মিউটেশন ঘটার প্রবণতা কম। ফলে মিউটেশনের মাধ্যমে কার্যকরী জিনের নিষ্ক্রিয়তার মাধ্যমে মৃত্যু ঘটে দেরিতে।

কিছু জিন থেকে চ্যাপেরন প্রোটিন তৈরী হয় যা বিকৃত প্রোটিনকে দূর করে। চ্যাপেরন উৎপাদক জিনের আধিক্য বিকৃত প্রোটিন দ্বারা কোশের কাজের ক্ষতি, মৃত্যু বিলম্বিত হয়।

যে সব জীবের কোশে বিপাকের তথা কোশের ভিতরে ঘটা নানা রকম জৈব রাসায়নিক বিক্রিয়ার হার বেশী তাদের কোশের বিপাকজাত বর্জ্য পদার্থের জমা হওয়ার ঘটনা ঘটে বেশী। জমা থাকা বর্জ্যগুলি কোশের জিনের মিউটেশন ঘটাতে পারে। কোশের স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যহত করতে পারে। এর ফলে কোশের বার্ধক্য দ্রুত আসে।

পরিবেশের বিভিন্ন উপাদান DNA এর ক্ষয়ক্ষতি ঘটায়। এই ক্ষতি মেরামতের সিস্টেম কোশের ভিতরেই থাকে। DNA এর ক্ষয়ক্ষতি মেরামতের জন্য দায়ী m-RNA ও প্রোটিন উৎপাদনকারী জিন যে জীবে বেশী থাকে তার DNA এর ক্ষয়ক্ষতি মেরামতের সিস্টেম তত জোরদার। ফলে কোশের বার্ধ্যক্য মৃত্যু হয় দেরিতে।

এবার প্রশ্ন হতে পারে কোনো জীবে এইসব জিন বেশী, বা মিথাইল গ্রুপ যুক্ত জিন বেশী, অন্য জীবে কম কেন? জিনের এই বিভিন্নতার কারণ মিউটেশন। জীবজগতে এত বৈচিত্র্যর পিছনে মুখ্য ভূমিকা মিউটেশনের। মিউটেশন একটি random ঘটনা। কোনো জিনের মিউটেশনের মাধ্যমে উৎপন্ন বৈচিত্র্য প্রকৃতিতে টিকে থাকার অনুকূল হলে তা টিকে থাকে। একক জীব টিকে থাকলেই হল না। তার প্রজননের সাফল্যের উপর নির্ভর করে জিনের প্রকৃতিতে টিকে থাকা। যা কচ্ছপের দীর্ঘ্য জীবনের রহস্য । 

Leave a Reply