এনার্জিতে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার জন্য জার্মান রেলওয়ে এবং বৃটিশ এনার্জী কোম্পানী যৌথভাবে পরীক্ষা চালাচ্ছে । এভাবে প্রতি কিলোমিটার রেললাইন থেকে তারা 0.01 মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারবে । জার্মানীতে রেললাইন আছে ৩৩ হাজার ৪২২ কিলোমিটার । যা টু-ওয়েতে দাঁড়ায় মোট ৬৬ হাজার ৮৪৪ কিলোমিটারে । যদি ৬৬ হাজারও ধরে নিই, তবে উৎপাদিত বিদ্যুতের পরিমাণ দাঁড়ায় ৬৬০ মেগাওয়াট ।

জার্মানীতে রেললাইনে সোলার প্যানেল

জার্মানিতে মোট বিদ্যুতের চাহিদা ২৮৬ গিগাওয়াট । ২০১৯ সালে যার পুরোটার সক্ষমতা তারা তৈরি করে ফেলেছে । তার মানে বিদ্যুতের দিক থেকে তারা পুরোপুরি স্বয়ংসম্পূর্ণ । কিন্তু তা স্বত্বেও কেন তারা এরকম বিকল্প খুঁজছে ? উত্তরটা সহজ । জ্বালানীতে শুধু স্বয়ংসম্পূর্ণতা পেলেই হবেনা, বরং সেগুলো সাস্টেইনেবল হতে হবে । তা সম্ভব একমাত্র রিনিউয়েবল এনার্জি দিয়ে । যার উৎসগুলো হল- সূর্য্য, বাতাস, নদীর স্রোত । যার মধ্যে সবচেয়ে সেরাটি হল- সূর্য্য বা সোলার এনার্জি । জার্মানী সোলার এনার্জি থেকে শুধুমাত্র তাদের রেললাইন ব্যবহার করেই ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে সক্ষম হবে ।

ভাদলা সোলার পার্ক (রাজস্থান, ভারত)

তাদের এরকম বহুমুখী উদ্যোগ তাদের বিদ্যুৎ উৎপাদনের ধারণাটাই পাল্টে দিবে ! তবে এই উদ্যোগে শুধু জার্মানী নয়, সোলার এনার্জির মাধ্যমে এনার্জির চাহিদা মেটানোর প্রকল্প এখন অনেকগুলো দেশই হাতে নিচ্ছে । আমাদের পার্শবর্তী দেশ ভারতে প্রায় ৪০টি সোলার পাওয়ার প্লান্ট আছে, যেগুলো থেকে তারা প্রায় ১০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে । ভারতের রাজস্থানে ভাদলা পাওয়ার প্লান্ট নামে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সোলার পাওয়ার প্লান্ট স্থাপন করা হচ্ছে, যা প্রায় ২.২৫ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম । যেখানে ভারতে বিদ্যুতের চাহিদা ১১৫৮ গিগাওয়াট ।

Leave a Reply