বেশিদিন
আগের কথা নয় । এইতো কিছুদিন আগেই মা তার সন্তানকে মাছের পিঠে দাঁড়িয়ে থাকা পৃথিবী,
পানিতে ভেসে থাকা পৃথিবীর গল্প শুনিয়ে ঘুম পারিয়ে দিত । কিন্তু আমরা এখন সত্যিটা
উতঘাটন পেরেছি । আমরা জানতে পেরেছি, সৌরকেন্দ্রিক এই মহাবিশ্বের হাজারও রহস্য ।
কিন্তু সেই গল্পগুলোই মানুষের কাছে সত্যি ছিল ১৫০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত । এই স্থির
মহাবিশ্বের সৃষ্টি আর টিকে থাকা সব রহস্যই রেখে দেয়া হত সৃষ্টিকর্তার নামে । কেউ
কেউ প্রশ্নও তুলতো । কিন্তু সংখ্যায় তাদের সংখ্যা ছিল সামান্য
তবুও রহস্য আর সত্য
উতঘাটনের প্রতি ক্ষুদার কমতি ছিলনা। এদের মাঝেই একজন ছিলেন ক্লডিয়াস টলেমী
প্রথম স্থির
পৃথিবী নিয়ে পৃথিবী কেন্দ্রিক মডেল প্রস্তাব করলেন । তিনি এই মডেলে উল্লেখ করলেন,
স্থির পৃথিবীকে কেন্দ্র করে সব গ্রহ নক্ষত্র এমনকি সূর্যও বৃত্তাকার কক্ষপথে সসীম
সীমার মধ্যে ঘুরছে । তবে এই সসীম সীমার বাইরে কি ছিল সে সম্পর্কে আমরা তখনও কিছু
জানি না
এমনটাই
উল্লেখ করলেন তিনি
তার
মডেলটিই মহাকাশবিদ্যার প্রথম মডেল এবং এই মডেলের ধারনাটিই তার ভাগ্য খুলে দিল ।
সসীম সীমার বাইরের অসীম পরিসরে খ্রিষ্টীয় গির্জারা তাদের স্বর্গ আর নরকের জায়গা
খুজে পেল । তাদের ধর্ম বিশ্বাস আর টলেমির তত্ত্ব মিলে গেল । সবাই মেনে নিল টলেমির
পৃথিবী কেন্দ্রিক তত্ত্বটি । সেই সময়ে প্লেটোর শীর্ষ এবং বীর আলেকজান্ডারের শিক্ষক
প্রভাবশালী দার্শনিক অ্যারিস্টটল টলেমির এই তত্ত্ব মেনে নেয় । ফলে বিশ্বাসের
সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছে যায় মডেলটি । এভাবেই পৃথিবী কেন্দ্রিক এই বিশ্ব তত্ত্বটি
বিশাল আধিপত্য বিস্তার করল । অতি বিশ্বাস যে মানুষকে কখনও কখনও অন্ধও করে দেয় এটি
মনে হয় তার উৎকৃষ্ট প্রমাণ হয়ে দাঁড়াল

টলেমীর
মডেলের সীমাবদ্ধতা কেউ কেউ বুঝতে পেরেছিল । কিন্তু কেউ মুখ ফুটে কিছুই বলতে পারেনি
। আর যারা বলতে এসেছিল তাদের পরিণতি এমন হয়েছিল, পরবর্তিতে তারা বাধ্য হয়েছিল
নিজের তত্ত্ব ছেড়ে টলেমির তত্ত্ব মেনে নিতে । আর এই বাধ্য করার কাজটি অধিকাংশই করত
খ্রিষ্টীয় গির্জারা । কারণ তাদের মতে, টলেমির তত্ত্ব মেনে না নেয়ার অর্থ ছিল- সে
স্রষ্টার দুষ্ট বান্দা এবং বিপথগামী, নাস্তিক । এতসব বাঁধা বিপত্তিকে উপেক্ষা করে,
২৭০ সালে গ্রিক দার্শনিক সামোসের অ্যারিস্টারকাস প্রথম তুলে ধরলেন সৌরকেন্দ্রিক
বিশ্বের কথা । অর্থাৎ সূর্য্যকে কেন্দ্র করে পৃথিবী সহ সমস্থ গ্রহ নক্ষত্র ঘুরছে ।
কিন্তু প্রভাবশালী দার্শনিক অ্যারিস্টটলের কারণে তিনি গ্রিসে সমর্থন পাননি ।
সম্ভবত এ কারণে, অ্যারিস্টটলকে আজও অনেকেই ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিতে মেনে নিতে পারেননা
। আরও প্রায় আরাইশত বছর পর দার্শনিক আর্যভট্ট সৌরকেন্দ্রিক মডেল দ্বার করান । টিকে
থাকতে পারেননি তিনিও । এরপর মধ্যযুগে আরবের আল হাজেন সৌরকেন্দ্রিক মডেলের বিশেষত্ব
বুঝতে পারেন
তিনি
নিশ্চিত ছিলেন পৃথিবী কখনই কেন্দ্রে থাকতে পারেনা । সূর্য্যকে কেন্দ্র করে পৃথিবী
ঘুরছে, পৃথিবীকে কেন্দ্র করে সূর্য্য নয় । তিনি টলেমির তত্ত্বের বিরুদ্ধে তীব্র
সমালোচনা করেন । কিন্তু তাকেও পিছু হটতে হয়েছিল । বারবার এমন বাঁধার সম্মুখীন
হাওয়ায় অনেকেই সৌরকেন্দ্রিক মডেলের চিন্তাকে অভিশাপ হিসেবে ধরে নিতে শুরু করেছে ।
তবুও প্রায় ১০০০ সালের দিকে আল বিরুনি সৌরকেন্দ্রিক মডেল নিয়ে আবারও ব্যাপক
প্রচারনা আরম্ভ করেন
এক সময় প্রচণ্ড বিরোধিতার সম্মুখীন হন তিনিও । সবার মত
তিনিও বাধ্য হন টলেমীর তত্ত্ব মেনে নিতে । এভাবে ধীরে ধীরে টলেমির তত্ত্ব আধিপত্য
বিস্তার করেই চলছিল । ১৩০০ সালে আল কাতিবি আবারও সৌরকেন্দ্রিক তত্ত্বের প্রস্তাব করলে,
তাকেও ছাড়েনি খৃষ্টীয় গির্জা এবং টলেমী ভক্তরা
এরপর কেউ
দুঃসাহস করেনি টলেমির বিরোধিতা করতে ।
টলেমীর ভূ-কেন্দ্রিক মডেল

১৫১৪
সালে আবারও আল কাতিবির সৌরকেন্দ্রিক মডেলের আলোকে, সৌরকেন্দ্রিক মহাবিশ্বের মডেল
দ্বার করান কোপার্নিকাস । এই মডেলে তিনি দেখান, গ্রহ গুলো সূর্যকে কেন্দ্র করে
কিভাবে ঘুরছে । যেখানে গ্রহগুলোর নিজ অক্ষের চারপাশে ঘুর্ণন বা স্পিনও বিদ্যমান ।
কিন্তু ধর্ম বিরোধিতার ভয়ে তিনি নিজের মডেলটি ছদ্মনামে প্রকাশ করলেন । কয়েক বছর পর
সেই সময়ের দুজন বিখ্যাত জ্যোতির্বিদ জোহানেস কেপলার এবং গ্যালিলিও গ্যালিলি
প্রকাশ্যে কোপার্নিকাসের মডেলটি সমর্থন করেন । এতে কোপার্নিকাস কিছুটা সাহস পেলেন
এবং ১৫৪৩ সালে নিজের নামে প্রকাশ্যে নিজের মডেলটি প্রস্তাব করেন ।

প্রবল
ধর্ম বিরোধিতার সম্মুখীন হন এই তিন জোতির্বিদ । তবুও পিছপা হননি । টলেমির মডেলের
সীমাবদ্ধতা উল্লেখ পূর্বক সৌরকেন্দ্রিক মডেলের ভিত্তি আরও মজবুত করতে থাকলেন । এক
সময় ১৬০৯ সালে টলেমির তত্ত্বের পতন ঘটলে টলেমি এবং অ্যারিস্টটল পন্থী অধ্যাপকরা
ব্যাপক খেপেন । তারা কোপার্নিকাসের তত্ত্বকে বাতিলের জন্য ক্যাথলিক গির্জাকে
প্ররোচিত করতে থাকেন । ফলে কোন রকম যুক্তিতর্ক ছাড়াই ১৬১৬ সালে তারা কোপার্নিকাসের
তত্ত্বকে মিথ্যা এবং ভ্রান্ত বলে ঘোষণা করেন এবং গ্যালিলিওকে এই মডেলের প্রচারনা
বন্ধ করতে আদেশ প্রদান করেন
কিন্তু তিনি টা মেনে নেননি । বরং সে সময় এই ধর্মান্ধতা আর
কোপার্নিকাসের মডেলের সত্যতা নিয়ে একটি বইও লেখেন তিনি । পাশাপাশি সদ্য আবিষ্কৃত
টেলিস্কোপ ব্যবহার করে প্রথমবারের মত চাঁদের পিঠে পাহাড়, সূর্যের কলঙ্ক, বৃহস্পতির
চারটি উপগ্রহ এবং শুক্রের কলা আবিষ্কার করেছিলেন । এরই মাঝে তার বইটি পুরো ইউরোপে
ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করে । কিন্তু তার উপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় তাকে
ইনকুইজিশনে পাঠায় ক্যাথলিক গির্জারা
যাবজ্জীবন গৃহবন্দি করে রাখাসহ কোপার্নিকাসের তত্ত্ব
পরিত্যাগের আদেশ দেয়া হয় । এই সংকটপুর্ণ মুহুর্তে, জীবন বাঁচাতে শেষ পর্যন্ত মেনেও
নিয়েছিলেন তিনি । এরই মাঝে তার লিখিত দ্বিতীয় পাণ্ডুলিপিটি গোপনে হল্যান্ডের এক
প্রকাশকের কাছে পাঠিয়ে দেন
 কিন্তু
গৃহবন্দির এই জীবদ্দশা তাকে অন্ধত্ব আর বধিরতার দিকে নিয়ে যায় । নির্মমভাবে মারা
যান এই প্রতিবাদি যুগশ্রেষ্ঠ দার্শনিক । 
ইতিহাসে বিজ্ঞানের সঙ্গে অন্ধবিশ্বাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রতিক হয়ে রইলেন
তিনি । আধুনিক পদার্থবিজ্ঞানের নাম শুনলেই আইনস্টাইনের কথা উঠলেও তার সেই দ্বিতীয়
পাণ্ডুলিপিটি আজ আধুনিক পদার্থবিজ্ঞানের জন্মদাতা । তার রচিত আপেক্ষিকতা ছাড়া
আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতা চিন্তাও করা যায়না । মাঝেপথ থেকে আজও অনেকেই টলেমীকে মেনে
নিতে পারেননা । তাদের বিশ্বাস, টলেমীর কারণেই বিজ্ঞানের এই কালো অধ্যায় রচিত হয় ।
কিন্তু টলেমী এই অপবাদের দাবীদার নন । তার চিন্তা এবং যুক্তিতর্ক তাকে যে মডেল
দিয়েছিল, তিনি শুধু সেই মডেলটিই প্রস্তাব করেছিলেন । কিন্তু তার মডেলকে ঘিরে সত্য
আর মিথ্যার মাঝে দেয়াল তুলে দেয়ার কাজটি করেছে ধর্মান্ধ গির্জা এবং টলেমী ভক্তরা ।
বরং আমাদের এই মহাকাশবিদ্যার সূচনা করেছিলেন ক্লডিয়াস টলেমী ।

এরপর
বিজ্ঞানী কেপলার কোপার্নিকাসের তত্ত্বকে প্রতিষ্ঠিত করে পৃথিবীর গতিবিধি ব্যাখ্যা
সহ এই মডেলকে সমৃদ্ধ করেন । তিনি দেখান, সৌরকেন্দ্রিক মডেলে সূর্যের চারপাশে
পৃথিবী সহ সকল গ্রহ কিভাবে পরিভ্রমণ করছে, এর ঘুর্ণনের গতি এবং ঘুর্ণনকাল কেমন হবে
। যার সত্যতা পর্যবেক্ষণে পাওয়া যায় । এরপর ১৬৮৭ সালে বিজ্ঞানী নিউটনের পূর্ণ
সমর্থন পূর্বক এই মডেল আজ প্রতিষ্ঠিত ।

অ্যারিস্টটল
এবং ধর্মের প্রতি অন্ধ বিশ্বাস এতটা বছর সত্যকে আমাদের কাছ থেকে চাপিয়ে রেখেছিল
মাঝখান থেকে
কেড়ে নিয়েছে আমাদেরকে দেয়া অনেক দার্শনিকদের যুগসেরা কিছু মডেল । সুদীর্ঘ দের
হাজার বছর শুধুমাত্র ধর্মের এক অন্ধ বিশ্বাসকে আকরে ধরে এক অন্ধকার ইতিহাস রচনা
করেছি আমরা । তবে এই প্রতিকূলতাকে উপেক্ষা করে যাদের অবদানে আজ আমরা চাঁদ, মঙ্গল
জয় করেছি যুগ যুগ ধরে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে তাদের নাম ।
আমাদের গ্রহ

এই
কালো ইতিহাস থেকে পরিত্রাণ পেয়ে মহাবিশ্ব নিয়ে আমাদের চিন্তা এবং আবিষ্কার বেড়েই
চলেছে । আমাদের সূর্য্য আর জানা নক্ষত্রগুলো সহ বিপুল সংখ্যক নক্ষত্র নিয়ে গঠিত
অংশকে আমরা নাম দিয়েছি মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সি । অনেক বছর একেই আমরা পুরো মহাবিশ্ব
ভেবে এসেছিলাম
কিন্তু
১৯২৪ সালে এডউইন হাবল প্রমাণ করে দেখান, শুধু এটিই মহাবিশ্বের একমাত্র গ্যালাক্সি
নয় । এ ধরণের অসংখ্য গ্যালাক্সি আছে যার মাঝে আছে মিলিয়ন আলোকবর্ষ স্কেলের
ব্যাবধান । যার মধ্যে আছে মিলিয়ন বিলিয়ন নক্ষত্র । আর আমরা যে গ্যালাক্সিতে বসবাস
করছি, তা আড়াআড়ি ভাবে প্রায় এক লক্ষ আলোকবর্ষ বিস্তৃত যা নিজ অক্ষের চারপাশে প্রায়
একশ মিলিয়ন বছরে একবার ঘুরে আসে । সূর্য এখানে একটি অতি সাধারণ হলুদ বর্ণের একটি
নক্ষত্র যা এই গালাক্সির কিনারায় অবস্থিত ।

এত
বিশাল ব্যবধানে অবস্থিত নক্ষত্রগুলো আমরা প্রত্যক্ষভাবে পর্যবেক্ষণ করতে কিংবা
এদের দূরত্বও মাপতে পারবনা । কিন্তু আমাদের জ্ঞানের পিপাসা আছে অনেক । তাই এই সব
অজানা গ্রহ নক্ষত্র থেকে আসা আলোর বর্নালী বিশ্লেষণের মাধ্যমে আমরা তাদের বৈশিষ্ট্য,
বয়স এবং দূরত্ব সম্পর্কে জানতে পেরেছি । তাদের থেকে আসা আলোর তীব্রতা ধীরে ধীরে
হ্রাস পাচ্ছে বিধায় আমরা আবিষ্কার করেছি, তারা আমাদের থেকে দূরে সরে যাচ্ছে । আর এ
বৈশিষ্ট্যকে কাজে লাগিয়ে আমরা প্রসারণশীল মহাবিশ্বের তত্ত্ব আবিষ্কার করেছি । যদিও
এই মতের বিরুদ্ধেও অনেক মতবাদ আছে । অনেক জ্যোতির্বিদ বলছেন, গ্রহ উপগ্রহ থেকে আসা
আলোর তীব্রতা হ্রাস পাওয়া মানে এই নয় যে তারা দূরে সরে যাচ্ছে । এমনও হতে পারে,
তাদের জ্বালানী হ্রাস পাচ্ছে বিধায় তাদের তীব্রতা ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে । আমরা
বিগব্যাং নামক বিস্ফোরণের মাধ্যমে এই ইউনিভার্স সৃষ্টি হওয়া সম্পর্কে জানতে পেরেছি
। বিগব্যাং হল এক মহা বিস্ফোরণ, যার থেকে সময় সূচনা হয়ে আজও তা অতীতকে রেখে বর্তমান
হয়ে ভবিষ্যতের দিকে ধাবমান । মহাকাশবিদ্যার হাজারো তত্ত্ব থেকে আমরা জানতে পেরেছি,
আমাদের গ্যালাক্সি সহ এই মহাবিশ্ব একসময় ধ্বংস হবে
আর এর মাঝে
সূর্য্যও আছে
আর
গ্যালাক্সিদের মাঝে কিছু কিছু নক্ষত্র, যাদের ভর সূর্য্যের ভরের তুলনায় বেশি বা
সমান, তারা তাদের নিজ কেন্দ্রমুখী বল বা মর্ধ্যাকর্ষণের কারণে নিজের মধ্যেই চুপসে
যাবে । তৈরি হবে ব্ল্যাকহোল । যার মধ্য থেকে আলোও বের হয়ে আসতে পারেনা । ফলে এক
সর্বগ্রাহি অদৃশ্য শক্তি হয়ে বেঁচে থাকবে এই ব্ল্যাকহোল গুলো । যার মধ্যে হারিয়ে
যেতে পারি আমরাও । এভাবে সূর্যের মৃত্যুর সাথে সাথেই প্রাণীর অস্তিত্ব শেষ হয়ে
যাবে । তাই এই সৌরজগতের বাইরে বস্তি স্থাপন ছাড়া হয়তো আমাদের এই বিশ্ব তত্ত্ব
অন্বেষণ কখনই থামবেনা । হয়তো এরপর আবারও নতুন কোন প্রয়োজনীয়তা আমাদের সামনে
বর্তাবে । তাইতো আজও যারা বিশ্ব তত্ত্ব অন্বেষণ করতে আসে তাদেরকে এই চিন্তা আর
গবেষণার জগতে আমরা স্বাগত জানাই ।

পর্যন্ত সবার প্রতি শুধু একটাই অনুরোধ, অন্ধ বিশ্বাস দিয়ে বিজ্ঞানে আর কোন কালো
অধ্যায় রচনা করবেন না । আমরা আর কোন গ্যালিলিও কিংবা জিওর্দানো ব্রুনোকে হারাতে
চাইনা ।

লেখক
জিওন আহমেদ
তড়িৎ ও তাড়িত কৌশল বিভাগ(ইইই)
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি
বিশ্ববিদ্যালয়(চুয়েট)

Leave a Reply