অতি ভর বিশিষ্ট ব্ল্যাকহোলের(Supermassive Black hole) নিকট দিয়ে গমন
সরাসরি টাইম ট্রাভেলের কথা উল্লেখ না করলেও স্টিফেন
ডব্লিউ হকিংস ব্ল্যাকহোলকে একটি প্রাকৃতিক টাইম মেশিন হিসেবে উল্লেখ করেছেন ।
ব্ল্যাকহোল এতটাই ঘন যে, সময়ের উপর নাটকীয়-ভাবে এর হস্তক্ষেপ রয়েছে । মহাবিশ্বের
যেকোন কিছুর থেকে এটি সময়কে ধীর করে দিতে পারে ।
যদি একটি মহাকাশযান ব্ল্যাকহোলের অতি নিকট
দিয়ে প্রদক্ষিণ করে, তবে প্রতি ১৬ মিনিট প্রদক্ষিণের ক্ষেত্রে এটি ৮ মিনিট সময়
অর্জন করতে পারবে । অর্থাৎ ৮ মিনিট সময় কম লাগবে । এভাবে পর্যায়ক্রমিকভাবে যতক্ষণ
ঘুরবে, মহাকাশযান টি তার অর্ধেক সময় অর্জন করবে । ফলে মহাকাশযানের সদস্য টাইম
ট্রাভেল করবে । অর্থাৎ তারা যদি ১০ বছর ব্ল্যাকহোলকে প্রদক্ষিণ করে পৃথিবীতে ফিরে
আসে, পৃথিবীর সবার বয়স তার তুলনায় দশ বছর বেশি হবে । ঠিক যেমনটা দেখানো হয়েছিল,
চেরিস্টোফার নোলানের ইন্টারস্টেলার মুভিতে । কিন্তু এখানে যতটা সময় অর্জন দেখানো
হয়েছে, বাস্তবিক ভাবে এত বেশি সময় অর্জন এই পদ্ধতি হতে করা সম্ভব নয় ।
এ ব্যাপারে স্টিফেন ডব্লিউ হকিংস উল্লেখ
করেন, “এটি অতিতে ফিরে নিয়ে যেতে না পারলেও খুব একটা বেশি অতিতে ফিরে যাওয়া সম্ভব
হবেনা” । তবে এক্ষেত্রে সমস্যা হল ব্ল্যাকহোলের দৃষ্টিগ্রাহ্যতা নিয়ে । কারণ, কোন
বস্তু হতে আলো প্রতিফলিত হয়ে আসতে না পারলে আমরা স্বভাবতই সেই বস্তু দেখতে পারবনা
। যেহেতু ব্ল্যাকহোল থেকে কোন আলো ফিরে আসতে তথা প্রতিফলিত হয়ে আসতে পারেনা, তাই
আমরা এটি আমাদের দৃষ্টি ক্ষমতার বাইরে । তাছাড়া ব্ল্যাকহোলের কেন্দ্রমুখী অতি
মহাকর্ষ বলকে রোধ করে বা এই সীমার কাছাকাছি দিয়ে পরিভ্রমণ কখনই নিরাপদ হবে না ।
যদিও এখন পর্যন্ত আমাদের কিছু থিওরী এটা বলে, ব্ল্যাকহোলের অভ্যন্তরে সময় বর্তমান
হতে অতিতের দিকে ধাবমান । অর্থাৎ ঘড়ির কাঁটা উল্টা দিকে ঘুরবে । ব্ল্যাকহোলের সাথে
টাইম ট্রাভেলের এরূপ ধারণার জন্যই ব্ল্যাকহোল এতটা আগ্রহের স্থান দখল করেছে ।
লেখক
জিওন আহমেদ
ইইই চুয়েট

Leave a Reply