জুগশ্রেষ্ঠ
পদার্থবিদ অ্যালবার্ট আইনস্টাইন বলেছিলেন, প্রকৃতির সবচেয়ে দূর্বোদ্ধ সত্যিটা হল,
একে বোঝা সম্ভব । প্রকৃতির রহস্য নিয়ে এর আগেও কিছু কথা উল্লেখ করেছি । কিন্তু একে
নিয়ে কিছুটা বিশদ আলোচনা করা জরুরী । স্টিফেন ডব্লিউ হকিং উল্লেখ করেছিলেন,
“সবকিছুর শেষে সত্যটি হল এটাই, আমরা মানুষ, যারা প্রকৃতির মৌলিক কণাগুলোর সংকলন
মাত্র ।” আর নিজেদের সেই

সীমাবদ্ধতার অবস্থান থেকে আমরা মহাবিশ্ব পরিচালনাকারী
সূত্রগুলোকে যতটুকুই বুঝতে পারছি, তা আমাদের জন্য এক বড় বিজয় । আর আমাদের এই
সাফল্যের অগ্রগতি বেড়েই চলেছে বিধায় আমরা আশা রাখি, কোন একদিন আমাদের সৃষ্টির
রহস্য আমরা ঠিকই উৎঘাটন করতে সক্ষম হব ।

প্রকৃতি
তার আপন সত্ত্বায় গতিশীল আছে, ছিল এবং থাকবে । এখানে যদি কোন ব্যাতিক্রম দেখা যায়,
তাহলে আমরা নিশ্চিত থাকি, অবশ্যই এই ব্যাতিক্রমের কোন না কোন কারণ রয়েছে । কোথাও
না কোথাও একটা ব্যতিক্রম ঘটেছে । আর সেই পরিবর্তনও হঠাৎ করে কোন কারণ ছাড়া আসেনি ।
আসারও কারণ রয়েছে । আমি এটাই বূঝাতে চাচ্ছি, এই প্রকৃতিতে সর্বদাই কারণ বজায় থাকে।
যেকোন ঘটনার কারণ খুজে বের করা সম্ভব । একইভাবে যেকোন ঘটনাকে অন্য ঘটনায় ঘুরিয়ে
দেয়া যা নিয়ন্ত্রণ করা যায় । কাজটা বেশি কঠিন নয় । শুধু কারণকে ঘুরিয়ে দিলেই ঘটনাও
ঘুরে যায় । কিন্তু তার জন্য সেটা জানা থাকা প্রয়োজন যে সামনে কি হতে চলেছে । যেমন
যদি আগে থেকে জানা থাকতো ২০২০ সালে করোনা ভাইরাসে এত বড় মহামারী দেখা যাবে, তবে সে
জেনে এই ভাইরাসের উৎপত্তির কারণকে ঘুরিয়ে দিত যাতে এই মহামারী না আসে । কিন্তু তার
জন্য আমাদের ভবিষ্যৎ ভ্রমণের প্রয়োজন । যাকে এক কথায় টাইম ট্রাভেল বলা চলে । যে
তাত্ত্বিকভাবে সম্ভব হলেও এখনও বাস্তবিকভাবে আমাদের পক্ষে সম্ভব হয়নি ।  

তবে
কারণ এবং ধারাবাহিকতার টানে এই মহাবিশ্ব কোন মুহুর্তে কোন পরিস্থিতির দিকে মোড়
নেবে আমরা তা জানিনা । তাই আমরা সবাই টাইম ট্রাভেলার । যারা বর্তমান হতে সর্বদা
ভবিষ্যতের দিকে ছুটে চলছি । আমাদের জায়গাটিকে ভবিষ্যতে যে জায়গায় দেখতে চাই তার
জন্য অবশ্যই আমাদের সম্মিলিতভাবে কাজ করে যেতে হবে । 


জিওন আহমেদ

Leave a Reply