ঘর্ষণ কাকে বলে ?
দুইটি বস্তু পরস্পরের সাথে সংস্পর্শে থাকা অবস্থায় যদি তারা একে অপরের সাথে পিছলিয়ে চলার চেষ্টা করে, তখন তাদের মধ্যে যে বলের বাধাদানকারী বলের উৎপত্তি হয় সেই বলকে ঘর্ষণ বলে ।
ঘর্ষণ মুলত চার প্রকার
- স্থিতি ঘর্ষণ ।
- গতি ঘর্ষণ ।
- আবর্ত ঘর্ষণ ।
- প্রবাহী ঘর্ষণ ।
স্থিতি ঘর্ষণ
একটি বস্তু অন্য একটি বস্তু সাপেক্ষে স্থির থাকা অবস্থায় তাদের মধ্যে যে ঘর্ষণ বল থাকে তাকে স্থিতি ঘর্ষণ বলে । যেমন আমরা মাটিতে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় মাটির সাথে আমাদের স্থিতি ঘর্ষণ বল থাকে ।
গতি ঘর্ষণ
একটি বস্তুর সাপেক্ষে যখন অন্য একটি বস্তু চলমান থাকে তখন তাদের মধ্যে যে ঘর্ষণ থাকে তাকে গতি ঘর্ষণ বলে । যেমন আমরা যখন কলম দিয়ে খাতায় লিখি তখন আমাদের কলম খাতার সাপেক্ষে গতিশীল থাকে । লেখার সময় কলমের সাথে খাতার গতি ঘর্ষণ কাজ করে ।
আবর্ত ঘর্ষণ
একটি তলের উপর যখন একটি বস্তু গড়িয়ে বা ঘুরতে ঘুরতে চলে তখন সেই চলাকে আমরা আবর্তন বলে থাকি । এই আবর্তন করার সময় তলের সাথে বস্তুর যে ঘর্ষণ তাকে আবর্ত ঘর্ষণ বলে । যেমন গাড়ি রাস্তা দিয়ে চলার সময় গাড়ির চাকার সাথে রাস্তার আবর্ত ঘর্ষণ কাজ করে ।
প্রবাহী ঘর্ষণ
তরল বা বায়বীয় পদার্থ প্রবাহিত হতে পারে বলে এদেরকে প্রবাহী পদার্থ বলা হয় । কোন বস্তু যখন প্রবাহী অর্থাৎ তরল বা বায়বীয় পদার্থের ভিতর দিয়ে যায়, তখন তরল বা বায়বীয় পদার্থের সাথে বস্তুর যে ঘর্ষণ বল প্রযুক্ত হয় তাকে প্রবাহী ঘর্ষণ বলে । যেমন আমরা পৃথিবীতে যে বাতাসের সমুদ্রের মধ্যে ডুবে আছি, সেখানে বাতাসের সাথে আমাদের প্রবাহী ঘর্ষণ ক্রিয়াশীল ।