সেদিন ছিলো ১৬১০ সালের জানুয়ারি মাসের ৭ তারিখ বিজ্ঞানী গ্যালিলিও তার তৈরি দূরবীন দিয়ে চোখ
রাখলেন রাতের আকাশের সবচেয়ে উজ্জ্বল বস্তু
  বৃহস্পতি গ্রহের দিকেবৃহস্পতির
দুপাশে একই সরলরেখায় কয়েকটি ছোট ছোট আলোক বিন্দু দেখতে পেলেন গ্যালিলিও
 বৃহস্পতির বামে দুটি ছোট আলোক বিন্দু আর ডানে
একটি
পরের রাতে গ্যালিলিও একরাশ বিস্ময় নিয়ে খেয়াল
করলেন
, তিনটি নক্ষত্রই
চলে এসেছে বৃহস্পতির ডানে

দৃশ্যটা দেখে পুরোপুরি বিভ্রান্ত
হয়ে গেলেন গ্যালিলিও
আরও বোকা বনে গেলেন গ্যালিলিও, এরপরের রাতে দেখা গেল,
নক্ষত্র তিনটা বৃহস্পতির এপাশ থেকে ওপাশে নড়াচড়া করছে
শেষমেশ
তিনি বুঝলেন নক্ষত্র গুলো বৃহস্পতির চারপাশে ঘুরছে এবং এরা নক্ষত্র নয়
, চাঁদবৃহস্পতির চাঁদজানুয়ারির
১৩ তারিখ গ্যালিলিও বৃহস্পতির চতুর্থ চাঁদ টিকে ও দেখতে পেলেন
এটি গ্যালিলিও যে কদিন ধরে বৃহস্পতি দেখছেন ততোদিন বৃহস্পতির আড়ালেই ছিলো

এরাই গ্যালিলিওর আবিষ্কার করা চারটি উপগ্রহ বা
বৃহস্পতির চাঁদ

এই চার উপগ্রহ বা চাঁদকে একত্রে
গ্যালিলিও সম্মানে বলা হয় গ্যালিলিও উপগ্রহ বা চাঁদ
এখানে বলে রাখা ভালো যে, বৃহস্পতির সর্ববৃহৎ উপগ্রহ গ্যামিমেডের
আকৃতি বুধ গ্রহের চেয়েও বড় আর সেই
 সাথে সৌরজগতে সবচেয়ে বড় উপগ্রহও বটে
। 
বৃহস্পতির এ রকম ৬৩ টি নামকরণকৃত উপগ্রহ বা চাঁদ রয়েছেএদের
মধ্যে ৪৭ টির ব্যাস ১০ কিলোমিটারের চেয়েও কম এবং ১৯৭৫ সালের পর আবিষ্কৃত
বৃহস্পতির
সবচেয়ে বড় চারটি উপগ্রহ হল আয়ো
,
ইউরোপা, গ্যানিমেড এবং ক্যালিস্টো,এদেরকে গ্যালিলীয় উপগ্রহ বলা হয়
কারণ
১৬১০ সালে
 গ্যালিলিও প্রথম এই চারটি উপগ্রহ
আবিষ্কার করেছিলেন

সম্পাদনায়
জিওন আহমেদ
ইইই চুয়েট

Leave a Reply