আলোর সমান বেগে যাত্রা করে
টাইম ট্রাভেলের এই উপায়ের তাত্ত্বিক রুপ
এসেছিল, আলবার্ট আইনস্টাইনের বিশেষ আপেক্ষিক তত্ত্ব হতে । স্থির কিংবা গতিশীল
যেকোন কাঠামোতে আলোর বেগ ধ্রুবক । যার মান
299792.458
km/sec . আইনস্টাইন তার বিশেষ আপেক্ষিক তত্ত্বে দেখান, কোন বস্তুর
বেগ আলোর বেগের যত কাছাকাছি হবে তার ঘড়ি বা বয়স তত ধীরে চলতে শুরু করবে । তবে
এক্ষেত্রে প্রফেসর ব্রেইন কক্স উল্লেখ করেন, “তুমি যদি আলোর বেগের সমান বেগে
গতিশীল হতে পার, তাহলে তোমার ঘড়ি এততাই ধীরে চলবে যে তুমি ১০,০০০ বছর ভবিষ্যতে
যেতে পারবে” ।
তবে এক্ষেত্রে সমস্যা হল, ভর যুক্ত কোন
বস্তুর বেগ আলোর বেগের চেয়ে বেশি এমনকি সমান হতে পারবেনা । আপেক্ষিকতার বিশেষ
তত্ত্বে তাত্ত্বিক ভাবেই দেখানো হয়েছে, আলোর বেগের সমান বেগ অর্জন করতে হলে
বস্তুকে ভর শুন্য হতে হবে । যা সম্ভব নয় । হ্যাড্রন কলিডার যেটি পৃথিবীর সবচেয়ে
ক্ষুদ্র শক্তিশালী গতিবর্ধক যন্ত্র হয়েও প্রোটনকে আলোর বেগে নিয়ে যেতে পারবেনা ।
আর যদি প্রোটন আলোর বেগ অর্জন করেও ফেলে, তাহলে এই গতিতে চলতে হলে প্রোটনকে অসীম
পরিমাণ শক্তির যোগান দিতে হবে । যার সম্ভব্যতা অনেক কম । তাই ভরশুন্য হওয়ার
ব্যাপারটি তখনই আমাদের চিন্তায় আনা যেত, যখন আমরা কৃত্রিম কোন হিগস ক্ষেত্র বানাতে
পারতাম । কিন্তু হিগস ক্ষেত্র এখনও শুধু আমাদের চিন্তায় ।
তাছাড়া বিবিসি এর জেনিফার কুইলেট এই বিষয়ে
উল্লেখ করেন, মানব শরীর টাইম ট্রাভেলের তথা আলোর বেগের মত গতিময় কিছুতে সামর্থ নয়
। আলোর বেগের কাছাকাছি গতিতে গেতে তার পরিণাম হবে নিশ্চিত মৃত্যু । টাইম ট্রাভেলের
এই উপায়টি অনেক বেশি পরিচিত হলেও অনেক পিছিয়ে ।
লেখক
জিওন আহমেদ

ইইই চুয়েট

Leave a Reply