আমরা যখন এক জায়গা থেকে আর এক জায়গায় যাই, তখন আমাদের একটি বেগ থাকে । যা আমাদের এগিয়ে যাওয়ার হার নির্দেশ করে । যেমন আপনি যদি আপনার গন্তব্যের দিকে প্রতি সেকেন্ডে ৫ মিটার করে এগিয়ে যান, তখন আমরা বলি গন্তব্যের দিকে আপনার বেগ ৫ মিটার/ সেকেন্ড ।

এখন এই এগিয়ে যাওয়ার হার কম অথবা বেশি হতে পারে । এই বাড়ানো বা কমানোর জন্য আপনাকে একটি বল প্রয়োগ করতে হবে । যার ফলে আপনার বেগ ধীরে ধীরে বাড়তে কিংবা কমতে পারে । আপনি যদি বল প্রয়োগ করে আপনার বেগ ধীরে ধীরে বাড়ান বা কমান, অর্থাৎ প্রতি সেকেন্ডে এগিয়ে যাওয়ার মানকে বাড়ান অথবা কমান  তখন আমরা বলি আপনার ত্বরণ হচ্ছে । তাহলে ত্বরণ বলতে আমরা কি বুঝছি ? সময়ের সাথে বেগের পরিবর্তনকে ত্বরণ বুঝানো হয় ।

স্বভাবতই সময়ের সাথে বেগ বৃদ্ধির হার হিসাব করলে আমরা ত্বরণের ধনাত্মক মান পাব । যাকে আমরা বলছি- ধনাত্মক ত্বরণ । আবার সময়ের সাথে বেগের হ্রাস হিসাব করলে আমরা ত্বরণের মান ঋণাত্মক পাব । যাকে আমরা বলছি- ঋণাত্মক ত্বরণ । তাহলে ত্বরণের মান ধনাত্মক পেলে আমরা বুঝব- বেগ বৃদ্ধি পাচ্ছে । আর ত্বরণ ঋণাত্মক পেলে আমরা বুঝব- বেগ হ্রাস পাচ্ছে ।

আপনার কাছে মনে হতে পারে, ধনাত্মক কিংবা ঋণাত্মক চিহ্নের কি প্রয়োজন আছে ? আপনাকে যদি আমি বলি, আমার গন্তব্যে যাওয়ার সময় ত্বরণের মান ছিল সেকেন্ডে ৫ মিটার/সেকেন্ড । এটা দুইটা অর্থ হতে পারে । এক আমার বেগ প্রতি সেকেন্ডে ৫ মিটার/সেকেন্ড করে বাড়ছে অথবা আমার বেগ প্রতি সেকেন্ডে ৫ মিটার/সেকেন্ড করে কমছে । কিন্তু যদি আমি ধনাত্মক কিংবা ঋণাত্মক চিহ্ন দিয়ে দেই, তাহলে বোঝা যাবে আমার বেগ কমছে নাকি বাড়ছে । বলার কিংবা বোঝার সুবিধার্থে ঋণাত্মক ত্বরণকে আমরা মন্দন নামে ডাকি । সে জন্য ত্বরণের সংজ্ঞা দিতে অনেকেই বলে, সময়ের সাথে বেগ হ্রাসের হারকে মন্দন বলে ।

Leave a Reply