For
Class:9-10
Class:9-10
Lesson:14
Physics to Save Life
[There is nothing more than the original book option]
অবশ্যই জানতে হবে-
–
জীবপদার্থবিজ্ঞান এর ভিত্তি।
জীবপদার্থবিজ্ঞান এর ভিত্তি।
–
জগদীশচন্দ্র বসুর অবদান।
জগদীশচন্দ্র বসুর অবদান।
–
মানবদেহ এবং যন্ত্র।
মানবদেহ এবং যন্ত্র।
–
রোগ নির্ণয়ে ব্যবহৃত
যন্ত্রপাতি।
রোগ নির্ণয়ে ব্যবহৃত
যন্ত্রপাতি।
–
এক্সরে।
এক্সরে।
–
আল্ট্রাসনোগ্রাফি।
আল্ট্রাসনোগ্রাফি।
–
সিটিস্ক্যান।
সিটিস্ক্যান।
–
এমআরআই।
এমআরআই।
–
ইসিজি।
ইসিজি।
–
এন্ডোসকোপি।
এন্ডোসকোপি।
–
রেডিওথেরাপি।
রেডিওথেরাপি।
–
ইটিটি।
ইটিটি।
–
এনজিওগ্রাফি।
এনজিওগ্রাফি।
–
আইসোটোপ এবং এর ব্যবহার
।
আইসোটোপ এবং এর ব্যবহার
।
গুরুত্বপূর্ণ
আলোচনাঃ
আলোচনাঃ
Ø ১৮৯৫ সালে জার্মান বিজ্ঞানী উইলহেম রনজেন এক্স-রে আবিষ্কার করেন।
Ø জগদীশচন্দ্র বসুর বাংলা ভাষায় রচিত রচনাবলী ‘অব্যাক্ত’ নামক
গ্রন্থে সংকলিত আছে ।
গ্রন্থে সংকলিত আছে ।
Ø Response in the Living and Non-Living গ্রন্থটি জগদীশচন্দ্র
বসু রচিত ।
বসু রচিত ।
Ø মেরুরজ্জুর বিস্তৃত প্রতিবিম্ব তৈরিতেMRI হল অত্যন্ত মূল্যবান পরীক্ষা ।
Ø 6০Co আইসোটোপের সাহায্যে রোগীর শরীরের ক্ষতিকর ক্যান্সার টিউমারের উপস্থিতি সনাক্ত
করা যায়।
করা যায়।
Ø 32P রক্তস্বল্পতা রোধের চিকিৎসায়
ব্যবহৃত হয়।
ব্যবহৃত হয়।
প্রয়োজনীয়
সংজ্ঞাঃ
সংজ্ঞাঃ
ডাইঃ এনজিওগ্রাম করার সময় চিকিৎসক রোগীর দেহে যে তরল পদার্থ
একটি সরু ও নমনীয় নলের মধ্যে দিয়ে প্রবেশ করিয়ে দেন তাকে ‘ডাই’ বলে।
একটি সরু ও নমনীয় নলের মধ্যে দিয়ে প্রবেশ করিয়ে দেন তাকে ‘ডাই’ বলে।
রেডিওথেরাপিঃ রেডিওথেরাপি শব্দটি ইংরেজি শব্দ যা Radiation Therapyশব্দের সংক্ষিপ্ত রূপ।
ইকোকার্ডিওগ্রাফিঃ হৃদপিণ্ড পরীক্ষা করার জন্য যখন আলট্রাসাউন্ড ব্যবহার করা
হয় তখন এ পরীক্ষাকে ইকোকার্ডিওগ্রাফি বলে ।
হয় তখন এ পরীক্ষাকে ইকোকার্ডিওগ্রাফি বলে ।
কিছু গুরূত্বপূর্ণ
প্রশ্নঃ
প্রশ্নঃ
v এম আর আই এর পূর্ণরূপ কী?
উত্তরঃ এম আর আই এর
পূর্ণ রূপ হলো ম্যাগনেটিক রিজোন্যান্স ইমেজিং(Magnetic Resonance Imaging)।
পূর্ণ রূপ হলো ম্যাগনেটিক রিজোন্যান্স ইমেজিং(Magnetic Resonance Imaging)।
v MRI-যন্ত্রে কী ব্যবহার করা হয়?
উত্তরঃMRIযন্ত্রের শক্তিশালী চৌম্বক্ষেত্র এবং রেডিও তরঙ্গ ব্যবহার
করা হয়।
করা হয়।
v MRIকেন করানো হয়?
উত্তরঃMRIযন্ত্র ব্যবহার করে পায়ের গোড়ালি মচকানো এবং পিঠের ব্যাথার
জখমের বা আঘাতের তীব্রতা নিরূপণ করা হয়। ব্রেন এবং মেরু রজ্জুর বিস্তৃত প্রতিবিম্ব
তৈরির জন্যMRIহলো অত্যন্ত মূল্যবান
পরীক্ষা।
জখমের বা আঘাতের তীব্রতা নিরূপণ করা হয়। ব্রেন এবং মেরু রজ্জুর বিস্তৃত প্রতিবিম্ব
তৈরির জন্যMRIহলো অত্যন্ত মূল্যবান
পরীক্ষা।
v ETTএর পূর্ণ রূপ লিখ।
উত্তরঃETTএর পূর্ণ রূপ হলোExercise Tolerance Test।
v সমন্বিত বর্তনী কী?
উত্তরঃ সমন্বিত
বর্তনী হলো সিলিকনের মতো অর্ধপরিবাহী ব্যবহার করে তৈরি এমন একটি নির্মাণ যাতে আমাদের
আঙ্গুলের নখের সমান জায়গায় লক্ষ লক্ষ আণুবীক্ষণিক তড়িৎবর্তনী সংযুক্ত বা অঙ্গীভুত
থাকে।
বর্তনী হলো সিলিকনের মতো অর্ধপরিবাহী ব্যবহার করে তৈরি এমন একটি নির্মাণ যাতে আমাদের
আঙ্গুলের নখের সমান জায়গায় লক্ষ লক্ষ আণুবীক্ষণিক তড়িৎবর্তনী সংযুক্ত বা অঙ্গীভুত
থাকে।
v রেডিওথেরাপি কী?
উত্তরঃ রেডিওথেরাপি
হলো কোনো রোগের চিকৎসায় আয়ন সৃষ্টিকারী (তেজস্ক্রিয) বিকিরণের ব্যবহার।
হলো কোনো রোগের চিকৎসায় আয়ন সৃষ্টিকারী (তেজস্ক্রিয) বিকিরণের ব্যবহার।
v রেডিওথেরাপি কয় প্রকার এবং কি কি ?
উত্তরঃরেডিওথেরাপি দুই
প্রকার।যথাঃ ১।বাহ্যিক বীম বিকিরণ বা বাহ্যিক
রেডিওথেরাপি।
প্রকার।যথাঃ ১।বাহ্যিক বীম বিকিরণ বা বাহ্যিক
রেডিওথেরাপি।
২।অভ্যন্তরীণ রেডিওথেরাপি।
v X-rayকী?
উত্তরঃ এক্সরে হলো
এক ধরনের তাড়িতচৌম্বক বিকিরণ,যার তরঙ্গ
দৈর্ঘ্য ১০–১০এর কাছাকাছি।যা সাধারণ আলোর তঙ্গ দৈর্ঘ্য অপেক্ষা অনেক কম।
এক ধরনের তাড়িতচৌম্বক বিকিরণ,যার তরঙ্গ
দৈর্ঘ্য ১০–১০এর কাছাকাছি।যা সাধারণ আলোর তঙ্গ দৈর্ঘ্য অপেক্ষা অনেক কম।
v রোগ নির্ণয়ে চিকিৎসা যন্ত্রপাতির ব্যবহার অপরিহার্য-ব্যাখ্যা
কর।
কর।
উত্তরঃ বিভিন্ন
অসুস্থতায় রোগ নির্ণয়ের ক্ষেত্রে বাহ্যিক বর্ণনা শুনে রোগাক্রান্ত বিভিন্ন অঙ্গ
প্রত্যঙ্গের সঠিক অবস্থান নির্ণয় যেমন কঠিন তেমনি উক্ত নির্দিষ্ট অঙ্গ কী মাত্রায়
আক্রান্ত হয়েছে তা জানা সম্ভব নয়। বর্তমান আধুনিক চিকিৎসা যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে
রোগের সঠিক প্রকৃতি ও আক্রান্তের মাত্রা সবই জানা সম্ভব হচ্ছে।চিকিৎসক সঠিক ব্যবস্থাপত্র দিতে পারছেন। ফলে বলা যায় রোগ নির্ণয়ে চিকিৎসা
যন্ত্রপাতির ব্যবহার অপরিহার্য। তাই একথা বলা যায় যে,মানবদেহের সুস্থতায় এ সব যন্ত্রপাতির অবদান অপরিসীম।
অসুস্থতায় রোগ নির্ণয়ের ক্ষেত্রে বাহ্যিক বর্ণনা শুনে রোগাক্রান্ত বিভিন্ন অঙ্গ
প্রত্যঙ্গের সঠিক অবস্থান নির্ণয় যেমন কঠিন তেমনি উক্ত নির্দিষ্ট অঙ্গ কী মাত্রায়
আক্রান্ত হয়েছে তা জানা সম্ভব নয়। বর্তমান আধুনিক চিকিৎসা যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে
রোগের সঠিক প্রকৃতি ও আক্রান্তের মাত্রা সবই জানা সম্ভব হচ্ছে।চিকিৎসক সঠিক ব্যবস্থাপত্র দিতে পারছেন। ফলে বলা যায় রোগ নির্ণয়ে চিকিৎসা
যন্ত্রপাতির ব্যবহার অপরিহার্য। তাই একথা বলা যায় যে,মানবদেহের সুস্থতায় এ সব যন্ত্রপাতির অবদান অপরিসীম।
v এনজিওগ্রাফিতে ডাই-এর ব্যবহার ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ এনজিওগ্রাম
করার সময় চিকিৎসক রোগীর দেহে যে তরল পদার্থ একটি সরু ও নমনীয় নলের মধ্যে দিয়ে
প্রবেশ করিয়ে দেন তাকে ‘ডাই’ বলে।নলটিকে ক্যাথেটার বলে।এই ডাই
ব্যবহারের ফলে রক্তবাহী নালিকাগুলো এক্সরের সাহায্যে দৃশ্যমান হয়।এই ডাই পরে
কিডনী এবং মূত্রের মাধ্যমে শরীর থেকে বের হয়ে যায়।
করার সময় চিকিৎসক রোগীর দেহে যে তরল পদার্থ একটি সরু ও নমনীয় নলের মধ্যে দিয়ে
প্রবেশ করিয়ে দেন তাকে ‘ডাই’ বলে।নলটিকে ক্যাথেটার বলে।এই ডাই
ব্যবহারের ফলে রক্তবাহী নালিকাগুলো এক্সরের সাহায্যে দৃশ্যমান হয়।এই ডাই পরে
কিডনী এবং মূত্রের মাধ্যমে শরীর থেকে বের হয়ে যায়।
v আলট্রাসনোগ্রাফি কী?
উত্তরঃ শরীরের
অভ্যন্তরে নরম পেশি বা টিস্যুর সমস্যা নির্ণয়ে আলট্রাসাউন্ডকে কাজে লাগিয়ে যে
পরীক্ষা করা হয়,তাকে আলট্রাসনোগ্রাফি বলে।
অভ্যন্তরে নরম পেশি বা টিস্যুর সমস্যা নির্ণয়ে আলট্রাসাউন্ডকে কাজে লাগিয়ে যে
পরীক্ষা করা হয়,তাকে আলট্রাসনোগ্রাফি বলে।
v ক্যান্সার নিরাময়ে রেডিওথেরাপির ভূমিকা কী?
উত্তরঃ রেডিওথেরাপি
হলো ক্যান্সারের আরোগ্য বা নিয়ন্ত্রণের একটি কৌশল।এর মূল লক্ষ্য
হলো আক্রান্ত কোষেরDNAধ্বংসের
মাধ্যমে কোষটিকে ধ্বংস করা। অনেক ক্যান্সার রোগীর এটিই একমাত্র চিকিৎসা।
হলো ক্যান্সারের আরোগ্য বা নিয়ন্ত্রণের একটি কৌশল।এর মূল লক্ষ্য
হলো আক্রান্ত কোষেরDNAধ্বংসের
মাধ্যমে কোষটিকে ধ্বংস করা। অনেক ক্যান্সার রোগীর এটিই একমাত্র চিকিৎসা।
v C.T স্ক্যান
পদ্ধতিটি কী?ব্যাখ্যা কর।
পদ্ধতিটি কী?ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ সিটি স্ক্যান
শব্দটি ইংরেজিComputer Tomography Scanএর
সংক্ষিপ্ত রূপ।যে প্রক্রিয়ায় কোনো ত্রিমাত্রিক বস্তুর কোনো ফালি বা অংশের
দ্বিমাত্রিক প্রতিবিম্ব তৈরি করা হয় সে প্রক্রিয়াকে টমোগ্রাফি বলে।সিটি স্ক্যান
হচ্ছে এই প্রক্রিয়ায় উৎপন্ন ছবি।
শব্দটি ইংরেজিComputer Tomography Scanএর
সংক্ষিপ্ত রূপ।যে প্রক্রিয়ায় কোনো ত্রিমাত্রিক বস্তুর কোনো ফালি বা অংশের
দ্বিমাত্রিক প্রতিবিম্ব তৈরি করা হয় সে প্রক্রিয়াকে টমোগ্রাফি বলে।সিটি স্ক্যান
হচ্ছে এই প্রক্রিয়ায় উৎপন্ন ছবি।
v হৃৎপিন্ডের যে সকল অস্বাভাবিক প্রকৃতি ইসিজির মাধ্যমে
সনাক্ত করা যায় তা ব্যাখ্যা কর।
সনাক্ত করা যায় তা ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ হৃৎপিন্ডের
নিম্নলিখিত অস্বাভাকি প্রকৃতি ইসিজির মাধ্যমে শনাক্ত করা যায়।
নিম্নলিখিত অস্বাভাকি প্রকৃতি ইসিজির মাধ্যমে শনাক্ত করা যায়।
১. হৃৎপিন্ডের স্পন্দনের হার বেশি বা কম বা অনিয়মিত হওয়া।
২. সম্প্রতি সংঘটিত হওয়া হার্ট এটাক।
৩. হৃৎপিন্ডের আকার বড় হয়ে যাওয়া।
v কী কী কারণে এনজিওগ্রাফি করতে হয় ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ সাধারণত যে
যে কারণে চিকিৎসক এনজিওগ্রাফিকরার পরামর্শ দেন তা নিম্নরূপঃ
যে কারণে চিকিৎসক এনজিওগ্রাফিকরার পরামর্শ দেন তা নিম্নরূপঃ
১. হৃৎপিন্ডের বাহিরে ধমনির ব্লকেজ হলে।
২. ধমনি প্রসারিত হলে।
৩. কিডনীর ধমনির অবস্থা বোঝার জন্য।
৪. শিরার কোনো সমস্যা হলে।
মূলত এ সমস্ত সমস্যার কারণে বুকে ব্যাথ্যা,হার্ট এ্যাটাক,স্ট্রোক প্রভৃতি সমস্যা হয়।
v এক্স-রের ধর্মগুলো উল্লেখ কর।
উত্তরঃ এক্স-রের
ধর্মগুলো নিচে উল্লেখ করা হলঃ
ধর্মগুলো নিচে উল্লেখ করা হলঃ
১. এ রশ্মি সরলরোখায় গমন করে।
২. এক্স-রে তাড়িতচৌম্বক তরঙ্গ। তাড়িতক্ষেত্র বা
চৌম্বকক্ষেত্র দ্বারা এটি বিচ্যুত হয় না।
চৌম্বকক্ষেত্র দ্বারা এটি বিচ্যুত হয় না।
৩. এর তরঙ্গদৈর্ঘ্য খুব ছোট ।যা ১০–১০ এর কাছাকাছি।
৪. এটি আধান নিরপেক্ষ।
v এক্স-রে এর দুটি সুবিধা লিখ।
উত্তরঃ এক্সরের দুটি
সুবিধা হলোঃ
সুবিধা হলোঃ
১। এর দ্বারা ভাঙ্গা হাড়,ক্ষত বা অবাঞ্চিত বস্তুর ছবি তোলা হয়।
২। নিরাপত্তা
ব্যবস্থায় ব্যবহার করা হয়।
ব্যবস্থায় ব্যবহার করা হয়।
v হৃদপিন্ডকে স্বয়ংক্রিয় পাম্প বলা হয় কেন?
উত্তরঃ মানবদেহের
বিভিন্ন অংশের মধ্যে হৃৎপিন্ড বাইরের কোনো উদ্দীপনা ছাড়াই নিজস্ব বৈদ্যুতিক
সিগন্যাল দ্বারা পাম্প সমগ্রদেহে রক্ত সঞ্চালন করতে সক্ষম। এজন্য হৃৎপিন্ডকে
স্বয়ংক্রিয় পাম্প বলা হয়।
বিভিন্ন অংশের মধ্যে হৃৎপিন্ড বাইরের কোনো উদ্দীপনা ছাড়াই নিজস্ব বৈদ্যুতিক
সিগন্যাল দ্বারা পাম্প সমগ্রদেহে রক্ত সঞ্চালন করতে সক্ষম। এজন্য হৃৎপিন্ডকে
স্বয়ংক্রিয় পাম্প বলা হয়।
v সিটিস্ক্যান কেন করানো হয়?
উত্তরঃ দেহের
অভ্যন্তরে কোনো পেশি বা অস্থির স্থান পরিবর্তন,টিউমার,অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ বা
শারীরিক ক্ষতির নিখুঁত অবস্থান বা বর্তমান অবস্থান জানতে সিটিস্ক্যান করানো হয়।
অভ্যন্তরে কোনো পেশি বা অস্থির স্থান পরিবর্তন,টিউমার,অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ বা
শারীরিক ক্ষতির নিখুঁত অবস্থান বা বর্তমান অবস্থান জানতে সিটিস্ক্যান করানো হয়।
v তেজস্ক্রিয় আইসোটোপের ব্যবহার লিখ।
উত্তরঃ চিকিৎসাক্ষেত্রে
পরমাণু চিকিৎসায় তেজস্ক্রিয় আইসোটোপের ব্যবহার রয়েছে। এছাড়া কৃষিক্ষেত্রে,খাদ্য সংরক্ষণে,কীটপতঙ্গ দগমনে এবং শিল্প ক্ষেত্রে তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ এর ব্যাপক ব্যবহার
রয়েছে।
পরমাণু চিকিৎসায় তেজস্ক্রিয় আইসোটোপের ব্যবহার রয়েছে। এছাড়া কৃষিক্ষেত্রে,খাদ্য সংরক্ষণে,কীটপতঙ্গ দগমনে এবং শিল্প ক্ষেত্রে তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ এর ব্যাপক ব্যবহার
রয়েছে।
v এক্সরে ব্যবহারে সতর্কতা ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ এক্সরের
অপ্রয়োজনীয় বিকিরণসম্পাত যাতে রোগীর ক্ষতি করতে না পারে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয়
সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। এজন্য এক্সরে নেওয়ার সময় রোগীকে সীসা নির্মিত এপ্রোটন
দ্বারা যথাসম্ভব আচ্ছাদিত করতে হবে। অতি জরুরী না হলে গর্ভবতী মহিলাদের উদর এবং
পেলভিক অঞ্চলের এক্সরে করা উচিত নয়। অন্য কোনো এক্সরে পরীক্ষা প্রয়োজন হলে সীসা
নির্মিত এপ্রোন অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে।
অপ্রয়োজনীয় বিকিরণসম্পাত যাতে রোগীর ক্ষতি করতে না পারে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয়
সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। এজন্য এক্সরে নেওয়ার সময় রোগীকে সীসা নির্মিত এপ্রোটন
দ্বারা যথাসম্ভব আচ্ছাদিত করতে হবে। অতি জরুরী না হলে গর্ভবতী মহিলাদের উদর এবং
পেলভিক অঞ্চলের এক্সরে করা উচিত নয়। অন্য কোনো এক্সরে পরীক্ষা প্রয়োজন হলে সীসা
নির্মিত এপ্রোন অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে।
v জীবপদার্থবিজ্ঞানের সূচনা কীভাবে হলো?বা জীবপদার্থবিজ্ঞান বলতে কি বুঝ?
উত্তরঃ প্রাণিদেহকে
অনেক দিক থেকে যন্ত্রের সঙ্গে তূলনা করা যায় এবং প্রাণিদেহের অনেক আচরণকে ভৌত নিয়ম
দ্বারা ব্যাখ্যা করা সম্ভব। বস্তুত পদার্থবিজ্ঞানের নিয়মগুলো সার্বজনীন। ফলে শুধু
জড়জগত নয়,
প্রাণিজগতকেও পদার্থবিজ্ঞানের নিয়মে অনেক ক্ষেত্রে ব্যাখ্যা
করা সম্ভব। এই ধারণা হতেই জীবপদার্থবিজ্ঞানের সূচনা হয়েছে।
অনেক দিক থেকে যন্ত্রের সঙ্গে তূলনা করা যায় এবং প্রাণিদেহের অনেক আচরণকে ভৌত নিয়ম
দ্বারা ব্যাখ্যা করা সম্ভব। বস্তুত পদার্থবিজ্ঞানের নিয়মগুলো সার্বজনীন। ফলে শুধু
জড়জগত নয়,
প্রাণিজগতকেও পদার্থবিজ্ঞানের নিয়মে অনেক ক্ষেত্রে ব্যাখ্যা
করা সম্ভব। এই ধারণা হতেই জীবপদার্থবিজ্ঞানের সূচনা হয়েছে।
v মানবদেহ কখনো কখনো যন্ত্রের মতো আচরণ করে ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ যন্ত্রের মতো
মানবদেহও অনেকগুলো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশ বা অঙ্গ নিয়ে গঠিত।যার একটির
অভাবে বা বিকল হয়ে যাওয়ায় সম্পূর্ণ দেহের কর্মকান্ড বিঘ্নিত হয়। যন্ত্রের
প্রত্যেকটি অংশ যেমনিভাবে বিশেষ কাজ সম্পন্ন করে। তেমনিভঅবে মানবদেহের প্রত্যেকটি অঙ্গ আলাদা আলাদা কাজে
নিয়োজিত। মানবদেহের প্রত্যেকটি অঙ্গ একে অন্যের সাথে আন্তসম্পর্কিত। প্রত্যেকটি
অঙ্গ নিজস্ব গতিতে চলে,কিন্তু
সবগুলোর কাজই সুনির্দিষ্ট এবং এদের মধ্যে পূর্বনির্ধারিত সম্পর্ক রয়েছে। এ কারণেই
মানবদেহ কখনো কখনো যন্ত্রের মতো আচরণ করে বলে ধরে নেওয়া হয়।
মানবদেহও অনেকগুলো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশ বা অঙ্গ নিয়ে গঠিত।যার একটির
অভাবে বা বিকল হয়ে যাওয়ায় সম্পূর্ণ দেহের কর্মকান্ড বিঘ্নিত হয়। যন্ত্রের
প্রত্যেকটি অংশ যেমনিভাবে বিশেষ কাজ সম্পন্ন করে। তেমনিভঅবে মানবদেহের প্রত্যেকটি অঙ্গ আলাদা আলাদা কাজে
নিয়োজিত। মানবদেহের প্রত্যেকটি অঙ্গ একে অন্যের সাথে আন্তসম্পর্কিত। প্রত্যেকটি
অঙ্গ নিজস্ব গতিতে চলে,কিন্তু
সবগুলোর কাজই সুনির্দিষ্ট এবং এদের মধ্যে পূর্বনির্ধারিত সম্পর্ক রয়েছে। এ কারণেই
মানবদেহ কখনো কখনো যন্ত্রের মতো আচরণ করে বলে ধরে নেওয়া হয়।
v পদার্থবিজ্ঞানের উদ্ভাবিত যন্ত্রপাতি কীভাবে চিকিৎসা
ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়?
ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়?
উত্তরঃ চিকিৎসাক্ষেত্রে
ব্যবহৃত পদার্থবিজ্ঞানের উদ্ভাবিত যন্ত্রপাতিগুলো হলো এক্সরে,আল্ট্রাসনোগ্রাফি,সিটিস্ক্যান,এমআরআই,ইসিজি,এন্ডোসকোপি,রেডিওথেরাপি,ইটিটি,এনজিওগ্রাফি,আইসোটোপের ব্যবহার প্রভৃতি। এ যন্ত্রপাতিগুলো কিভাবে
চিকিৎসাক্ষেত্রে কাজে লাগে নিচে তা বর্ণনা করা হলো-
ব্যবহৃত পদার্থবিজ্ঞানের উদ্ভাবিত যন্ত্রপাতিগুলো হলো এক্সরে,আল্ট্রাসনোগ্রাফি,সিটিস্ক্যান,এমআরআই,ইসিজি,এন্ডোসকোপি,রেডিওথেরাপি,ইটিটি,এনজিওগ্রাফি,আইসোটোপের ব্যবহার প্রভৃতি। এ যন্ত্রপাতিগুলো কিভাবে
চিকিৎসাক্ষেত্রে কাজে লাগে নিচে তা বর্ণনা করা হলো-
১. এক্স–রেঃ এক্সরের
সাহায্যে স্থানচ্যুত হাড়,হাড়ে ফাটল,ভেঙে যাওয়া হাড়,মুখমন্ডলের যেকোনো ধরনের রোগ,অন্ত্রের
প্রতিবন্ধকতা,পিত্তথলি ও কিডনির পাথর,ফুসফুসে রোগ সনাক্ত করা যায়। এক্সরে ক্যান্সার কোষকে মারতে
সক্ষম।
সাহায্যে স্থানচ্যুত হাড়,হাড়ে ফাটল,ভেঙে যাওয়া হাড়,মুখমন্ডলের যেকোনো ধরনের রোগ,অন্ত্রের
প্রতিবন্ধকতা,পিত্তথলি ও কিডনির পাথর,ফুসফুসে রোগ সনাক্ত করা যায়। এক্সরে ক্যান্সার কোষকে মারতে
সক্ষম।
২. আলট্রাসনোগ্রামঃ আল্ট্রাসনোগ্রাফির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ
ব্যবহার স্ত্রীরোগ এবং প্রসূতিবিজ্ঞানে লক্ষ করা যায়। এর সাহায্যে ভ্রূণের আকার,পূর্ণতা,ভ্রূণের স্বাভাবিক বা অস্বাভাবিক অবস্থান জানা যায়। প্রসূতিবিদ্যায়
এটি একটি দ্রুত,নিরাপদ এবং নির্ভরযোগ্য কৌশল। আল্ট্রাসনোগ্রাফির সাহায্যে
জরায়ুর টিউমার এবং অন্যান্য পেলভিক মাসের উপস্থিতিও শনাক্ত করা যায়। বিভিন্ন ধরনের
ডাক্তারী পরীক্ষা যেমন- পিত্তপাথর,হৃদযন্ত্রের ত্রুটি এবং টিউমার শনাক্তকারণে আল্ট্রাসনোগ্রাম ব্যবহর করা হয়।
ব্যবহার স্ত্রীরোগ এবং প্রসূতিবিজ্ঞানে লক্ষ করা যায়। এর সাহায্যে ভ্রূণের আকার,পূর্ণতা,ভ্রূণের স্বাভাবিক বা অস্বাভাবিক অবস্থান জানা যায়। প্রসূতিবিদ্যায়
এটি একটি দ্রুত,নিরাপদ এবং নির্ভরযোগ্য কৌশল। আল্ট্রাসনোগ্রাফির সাহায্যে
জরায়ুর টিউমার এবং অন্যান্য পেলভিক মাসের উপস্থিতিও শনাক্ত করা যায়। বিভিন্ন ধরনের
ডাক্তারী পরীক্ষা যেমন- পিত্তপাথর,হৃদযন্ত্রের ত্রুটি এবং টিউমার শনাক্তকারণে আল্ট্রাসনোগ্রাম ব্যবহর করা হয়।
৩. সি টি স্ক্যানঃ সিটিস্ক্যানের সাহায্যে শরীরের নরম
টিস্যু,
রক্তবাহী শিরা বা ফুসফুস এবং অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সার সনাক্ত
করার কাজে সিটিস্ক্যান ব্যবহৃত হয়। সিটিস্ক্যানের প্রতিবিম্ব চিকিৎসককে টিউমার
সনাক্তকরণ,টিউমারের আকার,অবস্থান এবং টিউমারটি পার্শ্ববর্তী অন্য টিস্যুকে কী পরিমাণ
আক্রান্ত করেছে তা নির্ধারণেও সাহায্য করে। মাথার সিটিস্ক্যানের সাহায্যে
মস্তিষ্কের ভেতরে কোনো ধরনের রক্তপাত,ধমনীর ফুলা এবং টিউমারের উপস্থিতি সম্পর্কে জানা যায়। সিটিস্ক্যানের দ্বারা
রক্তসঞ্চালনের সমস্যা আছে কীনা তাও জানা যায়।
টিস্যু,
রক্তবাহী শিরা বা ফুসফুস এবং অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সার সনাক্ত
করার কাজে সিটিস্ক্যান ব্যবহৃত হয়। সিটিস্ক্যানের প্রতিবিম্ব চিকিৎসককে টিউমার
সনাক্তকরণ,টিউমারের আকার,অবস্থান এবং টিউমারটি পার্শ্ববর্তী অন্য টিস্যুকে কী পরিমাণ
আক্রান্ত করেছে তা নির্ধারণেও সাহায্য করে। মাথার সিটিস্ক্যানের সাহায্যে
মস্তিষ্কের ভেতরে কোনো ধরনের রক্তপাত,ধমনীর ফুলা এবং টিউমারের উপস্থিতি সম্পর্কে জানা যায়। সিটিস্ক্যানের দ্বারা
রক্তসঞ্চালনের সমস্যা আছে কীনা তাও জানা যায়।
৪. এম আর আইঃ পায়ের গোড়ালি মচকানো এবং পিঠের ব্যাথ্যায় এম আর
আই ব্যবহার করে জখমের বা আঘাতের তীব্রতা নিরূপণ করা হয়। ব্রেন এবং মেরুরজজুর
বিস্তৃত প্রতিবিম্ব তৈরির জন্য এমআরআই হলো অত্যন্ত মূল্যবান পরীক্ষা।
আই ব্যবহার করে জখমের বা আঘাতের তীব্রতা নিরূপণ করা হয়। ব্রেন এবং মেরুরজজুর
বিস্তৃত প্রতিবিম্ব তৈরির জন্য এমআরআই হলো অত্যন্ত মূল্যবান পরীক্ষা।
৫. ই সি জিঃ সাধারণত কোনো রোগের বাহ্যিক লক্ষণ যেমন- বুকের
ধড় পড়ানি,
অনিয়মিত ও দ্রুত হৃৎস্পন্দন,বুকে ব্যাথ্যা ইতঅদির কারণ নির্ণয় করার জন্য ইসিজি পরীক্ষা করতে হয়। এছাড়াও
নিয়মিত পরীক্ষার অংশ হিসেবে যেমন- অপারেশনের পূর্বে ইসিজির সাহায্য নেওয়া হয়।
ধড় পড়ানি,
অনিয়মিত ও দ্রুত হৃৎস্পন্দন,বুকে ব্যাথ্যা ইতঅদির কারণ নির্ণয় করার জন্য ইসিজি পরীক্ষা করতে হয়। এছাড়াও
নিয়মিত পরীক্ষার অংশ হিসেবে যেমন- অপারেশনের পূর্বে ইসিজির সাহায্য নেওয়া হয়।
Edited By
Jeion Ahmed
EEE CUET