ইলেকট্রন আসক্তি কাকে বলে ?

পরমাণু থেকে ইলেকট্রন বের করে নিতে যেমন শক্তির প্রয়োজন হয়, তেমনি কোন মৌলকে ইলেকট্রন দিলেও সেই মৌল থেকে শক্তি নির্গত হয় । আয়নীকরণ শক্তির মত এক্ষেত্রেও যেহেতু একটি পরমাণুকে আলাদাভাবে চিন্তা করা সম্ভব নয় তাই আমরা এক্ষেত্রেও একটি পরমাণু না নিয়ে এক মোল পরমাণু নেব । তাহলে- গ্যাসীয় অবস্থায় কোনো মৌলের এক মোল গ্যাসীয় পরমাণুতে এক মোল ইলেকট্রন প্রবেশ করিয়ে এক মোল একক ঋণাত্মক আয়নে পরিণত করলে সেই মৌল থেকে যে পরিমাণ শক্তি নির্গত হয় তাকে ঐ মৌলের ইলেকট্রন আসক্তি বলে ।

ইলেকট্রন আসক্তি
ইলেকট্রন আসক্তির পর্যায়বৃত্ততা

ইলেকট্রন আসক্তির পর্যায়বৃত্ততা

পরমানুর আকার যত বাড়তে থাকে, ইলেকট্রন আসক্তি তত হ্রাস পায় । নিউক্লিয়াসে চার্জ বৃদ্ধিতে ইলেকট্রন আসক্তি বৃদ্ধি পায় । যেহেতু একই পর্যায়ের বাম থেকে ডান দিকে গেলে মৌলের আকার হ্রাস পায়, তাই একই পর্যায়ের বাম থেকে ডান দিকে গেলে ইলেকট্রন আসক্তি বৃদ্ধি পায় । আবার একই গ্রুপের ওপর থেকে নীচের দিকে গেলে পরমাণুর আকার বৃদ্ধির সাথে সাথে ইলেকট্রন আসক্তিও হ্রাস পায় ।

Leave a Reply