For
Class 9-10
Lesson:8
Reflection of Light
                      [There is nothing more than the original book option]
সাধারন
আল‌োচনাঃ
আপতিত ও প্রতিফলিত রশ্মি দুইটি সুত্র মেনে চলে
সরল পেরিস্কোপে সমতল দর্পণ ব্যবহার করা হয়
চোখ , নাক , কান ও গলার চিকিৎসায়
অবতল দর্পণ ব্যবহার করা হয়
প্রয়‌োজনীয়
সংজ্ঞাঃ
প্রত‌িফলনঃ আলো যখন বায়ু বা অন্য কোনো স্বচ্ছ মাধ্যমের ভিতর দিয়ে
যাওয়ার সময় অন্য কোন মাধ্যমে বাধা পায় তখন দুই মাধ্যমের বিভেদতল থেকে কিছু পরিমান
আলো প্রথম মাধ্যমে ফিরে আসে
,একে আলোর
প্রতিফলন বলে।
প্রতিফলকঃ যে পৃষ্ঠ হতে আলোক রশ্মি প্রতিফলিত হয়ে ফিরে আসে তাকে
প্রতিফলক পৃষ্ঠ বলে।
ন‌িয়ম‌িত
প্রত‌িফলনঃ
যদি একগুচ্ছ সমান্তরাল আলোক
রশ্মি যদি কোনো সমতলে আপতিত হয়ে প্রতিফলনের পর সমান্তরাল রশ্মিগুচ্ছ বা অভিসারী বা
অপসারী রশ্মিগুচ্ছে পরিণত হয় তবে এ ধরনের প্রতিফলনকে আলোর নিয়মিত প্রতিফলন বলে।
ব্যাপ্ত
বা অন‌িয়ম‌িত প্রত‌িফলনঃ
যদি একগুচ্ছ
সমান্তরাল আলোকরশ্মি কোনো তলে আপতিত হয়ে যদি প্রতিফলনের পর আর সমান্তরাল না থাকে
বা অভিসারী বা অপসারী রশ্মি গুচ্ছে পরিণত না হয় তবে ঐ ধরনের প্রতিফলনকে আলোর
ব্যাপ্ত বা অনিয়মিত প্রতিফলন বলে।
দর্পণঃ যে মসৃণ তলে আলোর নিয়মিত প্রতিফলন ঘটে তাকে দর্পণ বলে।
সমতল
দর্পণঃ
যে মসৃণ সমতলে আলোর নিয়মিত
প্রতিফলন ঘটে
,সে তলকে সমতল দর্পণ বলে
গোলীয়
দর্পণঃ
যে দর্পণের প্রতিফলক পৃষ্ঠ
কোনো গোলকের অংশ বিশেষ তাকে গোলীয় দর্পণ বলে।
উত্তল
দর্পণঃ
কোনো গোলকের উত্তল পৃষ্ঠ যদি
প্রতিফলকরূপে কাজ করে তবে তাকে উত্তল দর্পণ বলে।
অবতল
দর্পণঃ
কোনো গোলকের অবতল পৃষ্ঠ যদি
প্রতিফলকরূপে কাজ করে তবে তাকে অবতল দর্পণ বলে
প্রত‌িবিম্বঃ কোনো বিন্দু হতে নিঃসৃত আলোক রশ্মিগুচ্ছ কোনো তলে
প্রতিফলিত বা প্রতিসরিত হওয়ার পর যে বিন্দুতে মিলিত হয় অথবা যে বিন্দু থেকে আসছে
বলে মনে হয়
,তাকে ঐ বিন্দুর প্রতিবিম্ব
বলে।
ম‌েরুঃ গোলীয় দর্পণের প্রতিফলক পৃষ্ঠের মধ্যবিন্দুকে তার মেরু
বলে।
ফেকাস
তলঃ
গোলীয় দর্পণের প্রধান ফোকাসের
মধ্য দিয়ে প্রধান অক্ষের সাথে লম্বভাবে যে সমতল কল্পনা করা হয় তাকে ফোকাস তল বলে।
দর্পণের
প্রধান অক্ষঃ
গোলীয় দর্পণের মেরু ও বক্রতার
কেন্দ্রে মধ্যে দিয়ে অতিক্রমকারী সরলরেখাকে দর্পণের প্রধান অক্ষ বলে।
দর্পণের
গৌণ অক্ষঃ
মেরু বিন্দু ব্যতিত দর্পণের
প্রতিফলক পৃষ্ঠের উপরস্থ যে কোনো বিন্দু ও বক্রতার কেন্দ্রের মধ্যে দিয়ে অতিক্রম
কারি সরলরেখাকে গৌণ অক্ষ বলে।
প্রধান
ফোকাসঃ
প্রধান অক্ষের সমান্তরালে আপতিত
একগুচ্ছ আলোক রশ্মি প্রতিসরণের পর প্রধান অক্ষের উপর যে বিন্দুতে মিলিত হয় (উত্তল)
অথবা যে বিন্দু হতে অপসৃত হচ্ছে বলে মনে হয় (অবতল)
,সেই বিন্দুকে প্রধান ফোকাস বলে।
বক্রতার
ব্যাসার্ধঃ
গোলীয় দর্পণ যে গোলকের অংশবিশেষ
,
সেই গোলকের ব্যাসার্ধকে ঐ দর্পণের বক্রতার ব্যাসার্ধ বলে।
বাস্তব
প্রতিবিম্বঃ
কোনো বিন্দু হতে নিঃসৃত আলোক
রশ্মিগুচ্ছ কোনো তলে প্রতিফলিত বা প্রতিসরিত হবার পর যদি দ্বিতীয় কোনো বিন্দুতে
প্রকৃত পক্ষে মিলিত হয় তাহলে ঐ দ্বিতীয় বিন্দুটিকে প্রথম বিন্দুর বাস্তব
প্রতিবিম্ব বলে।
অবাস্তব
প্রতিবিম্বঃ
কোনো বিন্দু হতে নিঃসৃত আলোক
রশ্মিগুচ্ছ কোনো তলে প্রতিফলিত বা প্রতিসরিত হবার পর যদি দ্বিতীয় কোনো বিন্দু থেকে
অপসারিত হচ্ছে বলে মনে হয়
,তবে ঐ দ্বিতীয়
বিন্দুটিকে প্রথম বিন্দুর অবাস্তব প্রতিবিম্ব বলে।
রৈখিক
ববর্ধনঃ
রৈখিক বিবর্ধণ বলতে বোঝায়
বিম্ব লক্ষ বস্তুর কত গুণ। বিম্বের দৈর্ঘ্য ও লক্ষ বস্তুর দৈর্ঘ্যর অনুপাতকে রৈখিক
বিবর্ধন বলে।
সিলভারিংঃ কাঁচের উপর ধাতুর প্রলেপ দেওয়াকে পারা লাগানো বা সিলভারিং
করা বলে
গুরুত্বপূর্ণ
প্রশ্নঃ
v আলোর চারটি ধর্ম লিখ ।
উত্তরঃ আলোর চারটি
ধর্ম নিম্নরূপ-
১. আলো এক ধরনের তাড়িত চৌম্বক তরঙ্গ।
২. কোনো স্বচ্ছ সমসত্ব মাশ্যমে আলো সরলপথে চলে।
৩. কোনো নির্দিষ্ট মাধ্যমে আলো একটি নির্দিষ্ট বেগে চলে।
৪. আলোর প্রতিফলন,প্রতিসরণ,ব্যতিচার,অপবর্তন বিচ্ছুরণ এবং সমবর্তন ঘটে।
v আলোর প্রতিফলন কয়টি সূত্র মেনে চলে এবং কী কী ?
উত্তরঃ আলোর
প্রতিফলন দুটি সূত্র মেনে চলে। এগুলো নিম্নরূপ-
১.প্রথম সূত্রঃ  আপতিত রশ্মি,প্রতিফলিত রশ্মি এবং আপতন বিন্দুতে প্রতিফলকের উপর অঙ্কিত অভিলম্ব একই সমতলে
অবস্থিত ।
২. দ্বিতীয় সূত্রঃ  প্রতিফলন
কোণ আপতন কোণের সমান হয় ।
v উত্তল দর্পণে গঠিত প্রতিবিম্বের বৈশিষ্ট্য বর্ণনা কর।
উত্তরঃ উত্তল
দর্পণের সামনে লক্ষ্যবস্তুর যে অবস্থানেই থাকুক না কেন গঠিত প্রতিবিম্ব সর্বদা
অবাস্তব
,
সোজা ও খর্বিত হয়। এক্ষেত্রে লক্ষ্যবস্তু দর্পণের যতই
নিকটবর্তী হতে থাকে
,বিবর্ধনের মান
তত বাড়তে থাকে
,অর্থাৎ বিম্বের দৈর্ঘ্য
বাড়তে থাকে ।
v প্রতিফলক টেলিস্কোপ তৈরিতে কোন ধরনের দর্পণ ব্যবহৃত হয়?
উত্তরঃ প্রতিফলক
টেলিস্কোপ তৈরীতে অবতল দর্পণ ব্যবহৃত হয় ?
v দর্পণের পিছনে ধাতুর প্রলেপ লাগানো হয় কেন?
উত্তরঃ কাচের এক
পৃষ্ঠে ধাতুর প্রলেপ লাগিয়ে দর্পণ তৈরি করা হয়। এর ফলে কাঁচ স্বচ্ছ প্রতিফলক
হিসেবে কাজ করে এবং প্রলেপ লাগানো পৃষ্ঠের বিপরীত পৃষ্ঠে আলোর প্রতিফলন হয় ।
v উত্তল লেন্স ও অবতল লেন্স চেনার উপায় কী?
উত্তরঃ সহজেই
লেন্সকে চিনতে হলে লেন্সটির খুব কাছে একটি আঙুল রেখে অপর পাশ থেকে দেখতে হয়
প্রতিবিম্বটি
সমশীর্ষ এবং বস্তুর তুলনায় আকারে বড় হলে বুঝতে হবে লেন্সটি উত্তল। আর প্রতিবিম্বটি
সমশীর্ষ কিন্তু বস্তুর তুলনায় আকারে ছোট হলে বুঝতে হবে লেন্সটি অবতল। এছাড়া উত্তল
লেন্সের মধ্যভাগ সরু ও প্রান্তভাগ মোটা হয়
v দন্ত চিকিৎসকগণ কোন ধরনের দর্পণ ব্যবহার করেন এবং কেন?
উত্তরঃ দন্ত
চিকিৎসকগণ অবতল দর্পণ ব্যবহর করেন। এর দর্পণে লক্ষবস্তুর প্রয়োজনমতো বিবর্ধিত ও
সোজা বিম্ব পাওয়া যায়। ফলে দাঁতের ও মুখের ভিতরের সূক্ষ্ম জায়গাগুলো বিবর্ধিত ও
স্পষ্ট দেখা যায়
v গোলীয় দর্পণ ও লেন্সের মধ্যে পার্থক্য কী?
উত্তরঃ গোলীয় দর্পণে
আলোর নিয়মিত প্রতিফলন ঘটে
,লেন্সের মধ্যে
আলোর নিয়মিত প্রতিসরণ ঘটে
গোলীয় দর্পণে বক্রতার কেন্দ্র ও প্রধান ফোকাস একটি কিন্তু
লেন্সে বক্রতার কেন্দ্র ও প্রধান ফোকাস দুইটি করে
v দর্পণে লম্বভাবে আপতিত রশ্মি একই পথে ফিরে আসে কেন?
উত্তরঃ আমরা জানি,প্রতিফলনের ক্ষেত্রে,আপতন কোণ ও প্রতিফলন কোণ সমান। যেহেতু দর্পণে আপতিত রশ্মি লম্বভাবে আপতিত হলে
আপতন কোণ
হয়,তাই প্রতিফলন কোণও হয় ।অর্থাৎ প্রতিফলিত রশ্মি একই কোণে একই পথে ফিরে আসে।
v সমতল দর্পণে বিম্বের পার্শ্ব-পরিবর্তন বলত‌ে কী বোঝায়?
উত্তরঃ কোনো বিস্তৃত
লক্ষ্যবস্তুর ডান ও বামপাশকে যথাক্রমে ওই বস্তুর প্রতিবিম্বের বাম ও ডানপাশ হিসেবে
দেখা যাওয়াকে প্রতিবিম্বের পার্শ্ব পরিবর্তন বা পাশ উল্টানো বলে।
v ডাক্তাররা চোখ,নাক,
কান,গলা,পর্যবেক্ষণের জন্য অবতল দর্পণ ব্যবহার করেন কেন?
উত্তরঃ আমরা জানি,অবতল দর্পণে আপতিত আলো অভিসারী রাশিগুচ্ছ সৃষ্টি করতে পারেএ দর্পণের
সাহায্যে আলোক-রশ্মিগুচ্ছকে একত্রিত করে একটি নির্দিষ্ট বিন্দুতে ফেরা যায়
এ কারণেই
ডাক্তাররা চোখ
,নাক,কান ও গলা পর্যবেক্ষণে বিস্তৃত বিম্ব স্বল্প পরিসরে দেখার
জন্য অবতল দর্পণ ব্যবহার করেন
v রৈখিক বিবর্ধনের মান1.25 বলতে কী বুঝায়?
উত্তরঃ রৈখিক
বিবর্ধনের মান
1.25 বলতে বুঝায় বিম্বটি
বিবর্ধিত এবং বিম্বের দৈর্ঘ্য ও লক্ষবস্তুর দৈর্ঘ্যের অনুপাত
1.25
v সমতল দর্পণে আপতিত আলোর কতটুকু প্রতিফলিত হবে তা কিসের ওপর
নির্ভর করে
?
উত্তরঃ সমতল দর্পণে
আপতিত আলোর কতটুকু প্রতিফলিত হবে তা নিম্নোক্ত বিষয়সমূহের উপর নির্ভর করে।
(ক) আপতিত আলো প্রতিফলকের উপর কত কোণে আপতিত হচ্ছে
(খ) প্রথম ও দ্বিতীয় মাধ্যমের প্রকৃতি।
v সমতল দর্পণে সৃষ্ট প্রতিবিম্বের বৈশিষ্ট্যগুলো কী কী?
উত্তরঃ সমতল দর্পণে
সৃষ্ট প্রতিবিম্বের বৈশিষ্ট্যগুলো নিম্নরূপ-
১. সমতল দর্পণ থেকে বস্তুর দূরত্ব যত,দর্পণ থেকে প্রতিবিম্বের দূরত্বও তত
২. প্রতিবিম্বের আকার লক্ষ্যবস্তুর আকারের সমান।
৩. প্রতিবিম্ব অবাস্তব এবং সোজা।
v সমতল দর্পণের ৪টি ব্যবহার লিখ
উত্তরঃ সমতল দর্পণের
চারটি ব্যবহার নিম্নরূপ-
১। সরল পেরিস্কোপ তৈরিতে সমতল দর্পণ ব্যবহার করা হয়
২। সমতল দর্পণের সাহায্যে আমরা আমাদের চেহারা দেখি
চোখের ডাক্তারগণ রোগীর দৃষ্টি শক্তি পরীক্ষা করার জন্য
বর্ণমালা পাঠের সুবিধার্থে সমতল দর্পণ ব্যবহার করে থাকেন
৪। পাহাড়ি রাস্তার বাঁকে দুর্ঘটনা এড়াতে এটি ব্যবহার করা হয়
v অবতল দর্পণে সৃষ্ট বিম্বের আকৃতি ও প্রকৃতি কীরূপ হয়?
উত্তরঃ অবতল দর্পণে
সৃষ্ট বিম্ব নিম্নরূপ হতে পারে-
১. (ক) পৃকৃতিঃ সদ ও উল্টো
   (খ)
আকৃতিঃ বিবর্ধিত
,লক্ষবস্তুর
সমান অথবা খর্বিত
২. (ক) প্রকৃতিঃ অসদ ও সোজা
   (খ)
আকৃতিঃ বিবর্ধিত
v নিরাপদ ড্রাইভিং এ দর্পণের ভূমিকা ব্যাখ্যা কর
উত্তরঃনিখুঁত এবং
নিরাপদ ভাবে গাড়ি চালাতে হলে চালককে শুধুমাত্র গাড়ির সামনে কী আছে তা দেখলেই চলে
না। বরং গাড়ির পিছনে কী আছে এ ব্যাপারেও সজাগ থাকতে হয়। এ উদ্দেশ্যে গাড়ির জন্যে
দর্পণগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং অপরিহার্য অঙ্গ। এজন্যে গাড়ি চালককে গাড়িতে
উঠার পরপরই দর্পণগুলোকে ঠিকমতো উপযোজন করতে হয়
v অবতল দর্পণকে অভিসারী দর্পণ কেন বলা হয়?
উত্তরঃ আকৃতিগত
কারণেই প্রধান অক্ষের সমান্তরাল একগুচ্ছ আলোকরশ্মি অবতল দর্পণে প্রতিফলনের পর
অভিসারী গুচ্ছে পরিণত হয়
তাই অবতল দর্পণকে অভিসারী দর্পণ বলা হয়
প্রয়‌োজনীয়
সুত্রঃ
I = r
m=





















গাণিতিক
সমস্যাঃ
1. দর্পণের 10 cm সামনে একটি বস্তু রাখা হলে 8
cm দূরে তার একটি বাস্তব বিম্ব গঠিত হয়
ঐ দর্পণের বিবর্ধন নির্ণয় কর
2. দর্পণের 30 cm সামনে একটি বস্তু রাখা হলে 10
cm দূরে তার একটি বাস্তব বিম্ব গঠিত হয়
ঐ দর্পণের ফোকাস দূরত্ব নির্ণয় কর
3. দর্পণের 1m সামনে একটি বস্তু রাখা হলে দর্পণের পিছনে
25 cm দূরে তার একটি বাস্তব বিম্ব গঠিত হয়
ঐ দর্পণের ফোকাস দূরত্ব নির্ণয় কর
4. সজিব আয়নার 1 m সামনে দাঁড়িয়ে তার নিজের
1.5 গুন বিবর্ধিত বিম্ব দেখতে পেল
আয়নার ফোকাস দূরত্ব কত ?
Edited By
                                                    Jeion Ahmed
                                                                                 EEE
CUET

Leave a Reply