দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতে গবেষণা ও উদ্ভাবনী কার্যক্রমকে আরো এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যাশায় বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে স্থাপিত প্রথম আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর হল- শেখ কামাল আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর, চুয়েট ।

চুয়েট আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর প্রকল্প

দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতে সফল উদ্যোক্তা তৈরি, গবেষণা ও উদ্ভাবনী কার্যক্রমকে উৎসাহিত করা এবং ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিক কোলাবোরেশনকে আরো সম্মৃদ্ধ করার পাশাপাশি তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের সুযোগ আরো অবারিত করার লক্ষ্যে চুয়েটে এই বিজনেস ইনকিউবেটর স্থাপন করা হয়। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আওতায় বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে প্রায় ১১৭ দশমিক ৭ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হয় । 

উল্লেখ্য, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় তথ্যপ্রযুক্তি খাতে দক্ষ স্নাতক তৈরির মাধ্যমে ২০৪১ সালের মধ্যে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে এই ইনকিউবেটর ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে ।

যা থাকছে আইটি বিজনেস ইনকিউবেটরে

শেখ কামাল আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর প্রকল্পের আওতায় চুয়েট ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে প্রায় পাঁচ একর জমির উপর ৫০ হাজার বর্গফুট আয়তনের ১০ তলাবিশিষ্ট এই ইনকিউবেশন ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছে । পাশাপাশি ৩৬ হাজার বর্গফুটের ছয়তলা বিশিষ্ট একটি মাল্টিপারপাস প্রশিক্ষণ ভবন বানানো হয়েছে। ইনকিউবেশন ভবনের মধ্যে রয়েছে- স্টার্টআপ জোন, আইডিয়া/ইনোভেশন জোন, ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিক জোন, ব্রেইনস্ট্রর্মিং জোন, ই-লাইব্রেরি, ডাটা সেন্টার, রিসার্চ ল্যাব, বঙ্গবন্ধু কর্ণার, এক্সিবিশন/প্রদর্শনী সেন্টার, ভিডিও কনফারেন্সিং কক্ষ, সভাকক্ষ প্রভৃতি। 

উদ্যোক্তা ও গবেষকদের কাজের সুবিধার্থে রাখা হয়েছে একটি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI) ল্যাব, একটি মেশিন লার্নিং ল্যাব, একটি বিগ ডাটা ল্যাব, অপটিক্যাল ফাইবার ব্যাকবোন, একটি সাব-স্টেশন ও সোলার প্যানেল রয়েছে। এছাড়া রয়েছে ব্যাংক ও আইটি ফার্মের জন্য পৃথক কর্ণার, সাইবার ক্যাফে, ফুড কোর্ট, ক্যাফেটেরিয়া, রিক্রিয়েশন জোন, মেকার স্পেস, ডিসপ্লে জোন, প্রেস/মিডিয়া কাভারেজ জোন, নিজস্ব পার্কিং সুবিধা প্রভৃতি। 

অন্যদিকে মাল্টিপারপাস প্রশিক্ষণ ভবনে ২৫০ জনের ধারণক্ষমতাসম্পন্ন সুসজ্জিত অডিটোরিয়াম এবং ৩০ জনের ধারণক্ষমতাসম্পন্ন পৃথক আটটি কম্পিউটার ল্যাব কাম সেমিনার কক্ষ রয়েছে। পাশাপাশি প্রতিটি ২০ হাজার বর্গফুট আয়তনের চারতলার পৃথক দুইটি (নারী ও পুরুষ) আবাসিক ডরমিটরি ভবন নির্মিত হয়েছে। প্রতিটি ডরমিটরিতে ৪০টি কক্ষ রয়েছে। এছাড়া দুটি মিনি সুপার কম্পিউটার সম্বলিত অত্যাধুনিক গবেষণা ল্যাব শীঘ্রই স্থাপিত হতে যাচ্ছে।

Leave a Reply