শুরুর আগে একটা
উদাহরণ দেয়া যাক । কথা বলব- একটি সাইকেল এবং একটি মোটর বাইক নিয়ে । একটি সাইকেলকে
চালানোর জন্য বা ক্রিয়াশিল করার জন্য আমাদের আগে থেকে এটাকে চালু কর নিতে হয় না ।
আমরা চাইলেই যখন তখন এটিকে দিয়ে কাজ করিয়ে নিতে পারি । অর্থাৎ এটির ধর্মই এমন যে,
এটি সর্বদাই ক্রিয়াশীল । তাই এটিকে আমরা একটি একটিভ ডিভাইস বলতে পারি । কিন্তু
একটি মোটর বাইকের ক্ষেত্রে কি ঘটে ? বাইকটি চালানোর জন্য বা ক্রিয়াশীল করার জন্য অবশ্যই
এটিকে চালু করে নিতে হয় । তাছাড়া এটি চলতে বা কাজ করতে সক্ষম নয় । অর্থাৎ এটি
সর্বদা একটিভ নয় । তাই আমরা একে বলতে পারি, একটিভ ডিভাইস ।

ইলেকট্রনিক্সেও
এই একটিভ এবং প্যাসিভের ধারনাটা একই । ইলেকট্রনিক্সে এমন কিছু কম্পোনেন্ট রয়েছে,
যাদের কাজের উপযোগী করার জন্য আগে থেকে অন করে নিতে হয় না । তারা সর্বদাই কর্মক্ষম
থাকে । আমরা যখন ইচ্ছা তাদের ব্যবহার করতে পারি । যাদের আমরা বলি প্যাসিভ ডিভাইস ।
আবার এমন অনেক কম্পোনেন্ট রয়েছে, যাদের কাজে ব্যবহারের জন্য বাইকের মত অন করে নিতে
হয় । যাদের আমরা বলি একটিভ ডিভাইস ।

সমগ্র
ইলেকট্রনিক্সে তিনটি মাত্র প্যাসিভ ডিভাইস রয়েছে । যথা-

  • রেসিস্টর
  • ক্যাপাসিটর
  • ইন্ডাক্টর

রেসিস্টরঃ
বর্তনিতে রেসিস্টরের কাজ হল, যে কোন অবস্থাতেই তড়িৎ প্রবাহকে বাঁধা প্রদান করা ।
তড়িৎ প্রবাহ যেকোন দিকেই হোক না কেন, এটি সর্বদাই তাকে বাঁধা প্রদান করবে । আর এই
কাজের জন্য এটি সক্রিয় করে নেয়ার কোন প্রয়োজন নেই । রাস্তায় একটা ভাঙ্গা ব্রীজ
যেমন সর্বদাই গাড়ি চলাচলকে বাঁধা দেয় এবং এর জন্য তাকে সক্রিয় করার প্রয়োজন নেই ।
তেমনি রেসিস্টরও সর্বদা প্রবাহকে বাঁধা প্রদান করবে ।

ক্যাপাসিটরঃ বর্তনি
দিয়ে তড়িৎ প্রবাহিত হওয়া মানে, এর মধ্যদিয়ে ইলেকট্রন প্রবাহিত হওয়া । আমরা যদি
বর্তনির কোন এক স্থানে ক্যাপাসিটর স্থাপন করি, তবে সেটি এই ইলেকট্রনের প্রবাহ থেকে
কিছু ইলেকট্রন গ্রহণ করে নিজের মধ্যে জমা করবে এবং প্রয়জনের সময় তা প্রদান করবে ।
আর এই কাজটি করার জন্য ক্যাপাসিটরকে মোটর বাইকের মত অন করে নিতে হয় না । তাই এটি
একটি প্যাসিভ ডিভাইস ।

ইন্ডাক্টরঃ ক্যাপাসিটরের
মতই এটিও একটি প্যাসিভ ডিভাইস । যেটি বর্তনিতে স্থাপন করলে বর্তনির তড়িৎ প্রবাহ
থেকে কারেন্ট এর মধ্যে জমা করে এবং প্রয়োজনের সময় তা প্রদান করে । ক্রিয়াশীল করার
জন্য একেও আগে থেকে অন করে নেয়ার প্রয়োজন নেই ।

আবার একটিভ
ডিভাইস সমূহের মধ্যে রয়েছে- ট্রানজিস্টর, মাইক্রোফোন, আইসি ইত্যাদি । যেমন
ট্রানজিস্টরকে ক্রিয়াশীল করার জন্য একে আগে থেকে একটি ভোল্টেজ দিয়ে অন করে নিতে হয়
। যাকে আমরা বায়াসিং ভোল্টেজ বলে থাকি ।

Jeion Ahmed

Leave a Reply