এতা তো
সত্য যে, ছোটবেলা থেকেই অসাধারণ প্রতিভা আর বুদ্ধিমত্তার পরিচয় ছিল আলবার্ট
আইনস্টাইনের । আর প্রাপ্ত বয়স আসতে না আসতেই আমাদের শেখালেন, কিভাবে জগতকে নতুন
করে চিন্তা করতে হয় ! কিভাবে জগতের সূত্রগুলোকে মূহুর্তের মধ্যে পাল্টে ফেলা যায় !
আমাদের দিয়েছেন, আধুনিক এক বিজ্ঞানের ছোয়া । যাকে আমরা আধুনিক পদার্থবিজ্ঞান নামেই
চিনি । এতসব কৃতিত্বের জন্য তিনি বিজ্ঞানী মহলে আজও সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট
বিজ্ঞানী হিসেবে খ্যাত । বিজ্ঞান আর প্রযুক্তির এত ব্যাপক উন্নতি আর শতশত গবেষনার
দ্বার খুলে যাওয়া সত্ত্বেও আজও তার এই মাইলফলক ভাঙ্গার কাছাকাছিও কেউ যেতে পারেনি

এর
আগের একটা আর্টিলেকে তুলে ধরেছিলাম, মানবজাতির অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য কেনমহাকাশে আমাদের বসতি স্থাপন প্রয়োজন । যেখানে আমাদের বসতি স্থাপনের জন্য সবচেয়ে
সম্ভবনাময় জায়গা হয়- চাঁদ এবং মঙ্গল গ্রহ । আরও কিছুটা সম্ভবনা যেখানে থাকে,
সেগুলো হল- শনি এবং বৃহস্পতির কিছু উপগ্রহ । শনি আর বৃহস্পতি নিয়ে আমাদের বেশি
একটা স্বপ্ন নেই । কারণ এগুলো শুধুই গ্যাসীয় দানব মাত্র । কিন্তু বসতি স্থাপন কি
চাইলেই সম্ভব ? সর্বশেষ এবং উন্নত মহাকাশযানটি ব্যবহার করেও আমাদের কাছের একটা নক্ষত্র
আলফা সেন্টুরাইতে যেতে সময় লাগবে প্রায় ৭০ হাজার বছর । মঙ্গলে যেতে প্রায় এক বছর ।
কিন্তু সেটা কি আদৌ সম্ভব । না ! প্রায় অসম্ভব । সম্ভব হতে পারে, যদি আমরা আরও
অনেক বেশি দ্রুতগতির কিছু মহাকাশযান বানাতে সক্ষম হই । আর সেটা যদি আলোর বেগের
অনেক কাছাকাছি হয়, তাহলে সবচেয়ে ভাল হয় । কারণ এখন পর্যন্ত আমাদের জানামতে আলোর
বেগের মানই সমচেয়ে বেশি ।

আইনস্টাইন
এই আলোর বেগের কাছাকাছি এক বেগে ভ্রমনের স্বপ্ন দেখেছেন মাত্র ১৬ বছর বয়সে । তিনি
আলোর পিঠে চড়ে এই মহাকাশ ভ্রমণ করতে চেয়েছেন । যাকে আমরা ন্যানোক্র্যাফট নামে চিনি
। আর এটার গতি হবে প্রায় আলোর বেগের পাঁচ ভাগের এক ভাগের সমান । অর্থাৎ প্রতি
ঘন্টায় ১০০ মিলিয়ন বেগে । যার মাধ্যমে আমাদের মঙ্গলে যেতে সময় লাগবে মাত্র ১ ঘণ্টা
। প্লুটোতে যেতে ১ দিন । ভয়েজারকে ছাড়িয়ে যেতে লাগবে মাত্র এক সপ্তাহ । আর আলফা
সেন্টুরাইতে যেতে সময় লাগবে প্রায় ২০ বছর ।

আইনস্টাইনের
এমন এক স্বপ্নের মহাকাশযান যদি আমরা বাস্তবায়ন করতে সক্ষম নই, হয়তো আমরা মানবজাতিতে
টিকিয়ে রাখার একটা অন্তত দ্বার খুলে দিতে পারব ।

জিওনআহমেদ

Leave a Reply