পরমাণুর আকার কাকে বলে ?

পরমাণুর আকার বলতে মূলত মৌলের নিউক্লিয়াস থেকে এর সর্বশেষ শক্তিস্তর বা যোজ্যতা শক্তিস্তরের দূরত্বকে বুঝানো হয় । সহজ ভাষায়- একটি মৌলের আকৃতি কত বড়, সেটাই সেই পরমাণুর আকার ।

পরমাণুর আকার
পরমাণুর আকারের পর্যায়বৃত্ততা

পরমাণুর আকারের পর্যায়বৃত্ততা

পর্যায় সারণির একই গ্রুপের উপর থেকে নিচের দিকে যত যাওয়া যায়, এর আকার তত বাড়তে থাকে । কারণ একই গ্রুপের উপর থেকে নিচে যাওয়া মানে, নতুন একটি করে পর্যায় । অর্থাৎ একটি করে নতুন শক্তিস্তর সৃষ্টি হওয়া । যেহেতু একটি করে নতুন শক্তিস্তর অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে তাই বলা যায় পরমাণুর আকার বাড়ছে । কাজেই আমরা বলতে পারি, পর্যায় সারণির একই গ্রুপের উপর থেকে নিচে দিকে গেলে পরমাণুর আকার বাড়তে থাকে ।

আবার আমরা যদি একই পর্যায়ের বাম থেকে ডান দিকে যেতে থাকি তবে নতুন শক্তিস্তর তৈরি হয়না । কিন্তু এক্ষেত্রে একইসাথে পারমাণবিক সংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে নিউক্লিয়াসে একটি করে প্রোটন তথা ধনাত্মক চার্জ এবং সর্বশেষ শক্তিস্তরে একটি করে ইলেকট্রন বাড়তে থাকে । এরা পরস্পর বিপরীত চার্জ হওয়ায় এদের মধ্যে আকর্ষন বলও বাড়তে থাকে । ফলশ্রুতিতে পরমানুটি চুপসে যেতে থাকে । ফলে পরমাণুর আকার ছোট হয়ে যায় । কাজেই আমরা বলতে পারি, পর্যায় সারণির একই পর্যায়ের বাম থেকে ডান দিকে গেলে পরমাণুর আকার ছোট হতে থাকে ।

Leave a Reply