কালিক পর্যায়ক্রম

পর্যায়বৃত্তির পর্যায়কাল যদি একটি নির্দিষ্ট সময় সাপেক্ষ্য হয় তবে তাকে কালিক পর্যায়ক্রম বলে অর্থাৎ কালিক পর্যায়ক্রম হলো সেই সকল ঘটনা যা একটি নির্দিষ্ট সময় পর পর পুনরাবৃত্তি ঘটে।

স্থানিক পর্যায়ক্রম

পর্যাবৃত্তির পর্যায়কাল যদি স্থান সাপেক্ষ হয় তবে তাই স্থানিক পর্যায়ক্রম। অর্থাৎ স্থানিক পর্যায়ক্রম হলো সেই সকল ঘটনা যা একটি নির্দিষ্ট স্থান পর পর পুনরাবৃত্তি ঘটে।

পর্যাবৃত্ত গতি

কোনো গতিশীল বস্তুকণার গতি যদি এমন হয় যে, এটি এর গতিপথে কোনো নির্দিষ্ট বিন্দুকে নির্দিষ্ট সময় পরপর একই দিক থেকে অতিক্রম করে, তাহলে সেই গতিকে পর্যাবৃত্ত গতি বলে।

সরল ছন্দিত স্পন্দন গতি

যখন কোনো পর্যায়বৃত্ত গতিসম্পন্ন বস্তুকণা সরল রৈখিক পথে এমনভাবে স্পন্দিত হয় যে, কণার উপর ক্রিয়াশীল বল কণার সাম্যাবস্থানের অভিমুখী হয় এবং এ বলের মান সর্বদা সাম্যাবস্থান হতে কণার সরণের সমানুপাতিক হয় তখন কণার এ জাতীয় গতিকে সরল ছন্দিত স্পন্দন বলে।

সরল ছন্দিত গতি

যদি কোনো বস্তুর ত্বরণ একটি নির্দিষ্ট বিন্দু থেকে এর সরণের সমানুপাতিক এবং সর্বদা ঐ বিন্দু অভিমুখী হয়, তাহলে বস্তুর এ গতিকে সরল ছন্দিত গতি বলে।

স্পন্দন গতি

পর্যাবৃত্ত গতিসম্পন্ন কোনো বস্তু যদি পর্যায়কালের অর্ধেক সময় কোনো নির্দিষ্ট দিকে এবং বাকি অর্ধেক সময় অন্য এক পথে তার বিপরীত দিকে চলে তবে তার গতিকে স্পন্দন গতি বলে।

ইপক

কোনো একটি কম্পমান বস্তু যে দশা বা কৌণিক অবস্থান নিয়ে কম্পন শুরু করে তাকে আদি দশা বা ইপক বলে।

আদি দশা

পর্যবেক্ষণ শুরুর মুহূর্তে বস্তুর অবস্থাকে বস্তুর আদি দশা বা ইপক বলে।

কম্পাঙ্ক

কোনো একটি সরল দোলক প্রতি সেকেন্ডে যতগুলো পূর্ণ দোলন সম্পন্ন করে তাকে এর কম্পাঙ্ক বলে।

পূর্ণ স্পন্দন

সরল ছন্দিত স্পন্দন গতি সম্পন্ন কণা যেকোনো দশা হতে যাত্রা শুরু করে পুনরায় একই দশায় ফিরে এলে যে দোলন সম্পন্ন হয় তাকে পূর্ণ দোলন বা পূর্ণ স্পন্দন বলে।

দোলনকাল

একটি পূর্ণ দোলন সম্পন্ন করতে কোনো একটি কম্পমান বস্তুর যে সময় লাগে তাকে তার দোলনকাল বলে।

পর্যায়কাল

পর্যাবৃত্ত গতিসম্পন্ন কোনো কণা যে নির্দিষ্ট সময় পরপর কোনো নির্দিষ্ট বিন্দুকে নির্দিষ্ট দিক দিয়ে অতিক্রম করে সেই সময়কে পর্যায়কাল বলে।

দশা

কম্পমান বস্তুর যেকোনো মুহূর্তে গতির অবস্থা, অবস্থান ও দিক যা দ্বারা বুঝানো হয়, তাকে দশা বলে।

সরল দোলন গতি

একটি ভারী আয়তনহীন বস্তুকে কোনো দৃঢ় অবলম্বন থেকে ওজনহীন, নমনীয়, পাকহীন ও অপ্রসারণশীল সুতার সাহায্যে ঝুলিয়ে দিলে বস্তুটি যদি সরলছন্দিত গতিতে দুলতে পারে তবে সেটিই সরল দোলন গতি।

কৌণিক কম্পাঙ্ক

সরলছন্দিত স্পন্দন সম্পন্ন কোনো কণা একক সময়ে যে কৌণিক দূরত্ব অতিক্রম করে তাকে কৌণিক কম্পাঙ্ক বলে।

কৌণিক বিস্তার

দোলনের সময় দোলক যেকোনো একদিকে সাম্যাবস্থান হতে সর্বোচ্চ যে কৌণিক দূরত্ব অতিক্রম করে তাকে এর কৌণিক বিস্তার বলে।

সরল দোলক

একটি নমনীয়, অপ্রসারণীয়, পাকহীন ও নগণ্য ভরের সুতার এক প্রান্তে একটি ক্ষুদ্র ভারী বস্তু বেঁধে অপর প্রান্ত যদি কোনো সুদৃঢ় স্থান হতে ঝুলিয়ে দেওয়া হয় এবং বস্তুটি যদি বিনা বাধায় এদিক ওদিক দুলতে থাকে, তাহলে এ ব্যবস্থাকে সরল দোলক বলে।

সরল দোলকের কার্যকরী দৈর্ঘ্য

সরল দোলকের ঝুলন বিন্দু থেকে ববের কেন্দ্র পর্যন্ত দৈর্ঘ্যকে কার্যকরী দৈর্ঘ্য বলে।

বিস্তার

কোনো একটি কম্পমান বস্তু এর মধ্য অবস্থান হতে ডানে ও বামে যে সর্বাধিক দূরত্ব অতিক্রম করে তাকে এর বিস্তার বলে।

ঝুলন বিন্দু

যে বিন্দুতে সুতার সাহায্যে দোলক পিণ্ডকে বেঁধে ঝুলানো হয় তাকে ঝুলন বিন্দু বলে।

সেকেন্ড দোলক

যে দোলকের দোলনকাল দুই সেকেন্ড অর্থাৎ যে দোলকের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে যেতে এক সেকেন্ড সময়। লাগে তাকে সেকেন্ড দোলক বলে।