কুলম্বের সূত্র

নির্দিষ্ট মাধ্যমে দুটি বিন্দু চার্জের মধ্যে ক্রিয়াশীল আকর্ষণ বা বিকর্ষণ বলের মান চার্জদ্বয়ের পরিমাণের গুণফলের সমানুপাতিক, এদের মধ্যবর্তী দূরত্বের বর্গের ব্যস্তানুপাতিক এবং এ আকর্ষণ বা বিকর্ষণ বল চার্জদ্বয়ের সংযোজক সরলরেখা বরাবর ক্রিয়া করে।

কুলম্ব

এস. আই. পদ্ধতিতে চার্জের একক কুলম্ব (C)। কোনো পরিবাহীর মধ্য দিয়ে এক অ্যাম্পিয়ার সুষম প্রবাহ চলাকালে পরিবাহীর যেকোনো প্রস্থচ্ছেদের মধ্য দিয়ে প্রতি সেকেন্ডে যে পরিমাণ চার্জ প্রবাহিত হয় তাকে এক কুলম্ব বলে।

তড়িৎক্ষেত্র

প্রত্যেক চার্জিত বস্তুর চারপাশে যে অঞ্চল জুড়ে এর প্রভাব পরিলক্ষিত হয়, সেই অঞ্চলকে ঐ চার্জিত বস্তুর তড়িৎ ক্ষেত্র বলে।

তড়িৎ ক্ষেত্রের প্রাবল্য

তড়িৎ ক্ষেত্রের কোনো বিন্দুতে স্থাপিত একক ধনাত্মক চার্জের উপর যে তাড়িত বল ক্রিয়া করে, তাকে ঐ বিন্দুর তড়িৎক্ষেত্রের প্রাবল্য বা তীব্রতা বলে।

তড়িৎ বিভব

অসীম দূর থেকে একক ধনাত্মক চার্জকে তড়িৎ ক্ষেত্রের কোনো বিন্দুতে আনতে যে কাজ সাধিত হয়, তাকে ঐ বিন্দুর তড়িৎ বিভব বলে।

বিভব পার্থক্য

প্রতি একক ধনাত্মক আধানকে তড়িৎ ক্ষেত্রের এক বিন্দু থেকে অন্য বিন্দুতে স্থানান্তর করতে সম্পন্ন কাজের পরিমাণকে ঐ দুই বিন্দুর বিভব পার্থক্য বলে।

সমবিভব তল

যে তল বরাবর কোনো চার্জ প্রবাহিত হয় না তাকে সমবিভব তল বলে।

ইলেকট্রন ভোল্ট

এক ভোল্ট বিভব পার্থক্যের এক বিন্দু থেকে অপর বিন্দুতে একটি ইলেকট্রন নিতে যে কাজ সম্পন্ন হয় তাকে এক ইলেকট্রন ভোল্ট বলে।

তড়িৎ দ্বিমেরু

দুটি সমান কিন্তু বিপরীতধর্মী বিন্দু চার্জ অতি অল্প দূরত্বে অবস্থিত হলে তাকে তড়িৎ দ্বিমেরু বলে। প্রতিটি চার্জের পরিমাণ এবং এদের মধ্যবর্তী দূরত্বের গুণফলকে দ্বিমেরু ভ্রামক বলে।

চার্জের তল ঘনত্ব

কোনো চার্জিত পরিবাহী পৃষ্ঠের একক ক্ষেত্রফলে চার্জের পরিমাণকে ঐ পরিবাহী পৃষ্ঠে চার্জের তল ঘনত্ব বলে।

চার্জের সংরক্ষণশীলতা

চার্জ সৃষ্টি বা ধ্বংস হয় না, এ মহাবিশ্বে মোট চার্জের পরিমাণ সর্বদা অপরিবর্তনীয়, একে চার্জের সংরক্ষণশীলতা বলে।

চার্জের কোয়ান্টায়ন

চার্জের একটি নির্দিষ্ট ন্যূনতম মান আছে- যা অপেক্ষা কম মানের চার্জ পাওয়া সম্ভব নয় এবং যেকোনো চার্জিত বস্তুতে মোট চার্জের পরিমাণ ঐ ন্যূনতম চার্জের অখন্ড গুণিতক। একে চার্জের কোয়ান্টায়ন বলে।

অপরিবাহী

যে সকল পদার্থের মধ্য দিয়ে তড়িৎ চলাচল করতে পারে না তাদেরকে অপরিবাহী বলে।

ডাই-ইলেকট্রিক ধ্রুবক

একটি নির্দিষ্ট দূরত্বে দুটি নির্দিষ্ট চার্জের মধ্যকার শূন্য মাধ্যমে বল এবং কোনো ডাই- ইলেকট্রিক মাধ্যমে বলের অনুপাতকে ঐ মাধ্যমের ডাই-ইলেকট্রিক ধ্রুবক বা দ্বিতাড়িত ধ্রুবক বা পরাবৈদ্যুতিক ধ্রুবক বলে।

ধারকত্ব

কোনো পরিবাহীর বিভব একক পরিমাণ বৃদ্ধি করতে যে পরিমাণ চার্জের প্রয়োজন হয় তাকে ঐ পরিবাহীর ধারকত্ব বলে।

ফ্যারাড

কোনো পরিবাহীর বিভব এক ভোল্ট বৃদ্ধি করতে যদি এক কুলম্ব চার্জের প্রয়োজন হয়, তবে ঐ পরিবাহীর ধারকত্বকে এক ফ্যারাড বলে।

ধারক

যে যান্ত্রিক ব্যবস্থায় কোনো পরিবাহীর ধারকত্ব বৃদ্ধি করা যায় বা পরিবাহীতে চার্জ ধরে রাখা যায় তাকে ধারক বলে। ধারকে তড়িৎ শক্তিকে সঞ্চয় করে রাখা যায়, এজন্য তড়িৎ শক্তিকে সঞ্চিত রাখার যান্ত্রিক ব্যবস্থাকে ধারক বলে।

ধারকের সংযোগ

একাধিক ধারককে একত্রে ব্যবহার করাকে ধারকের সংযোগ বলে।

তুল্য ধারকত্ব

ধারকের সংযোগের পরিবর্তে যে একটি মাত্র ধারক ব্যবহার করলে সংযোগে বিভব পার্থক্য ও আধানের কোনো পরিবর্তন হয় না তাকে তুল্য ধারকত্ব বলে।

ধারকের সঞ্চিত শক্তি

ধারকে আধান জমা হওয়ার ফলে যে বিভব শক্তির সৃষ্টি হয় তাকে ধারকের সঞ্চিত শক্তি বলে।

গাউসের সূত্র

কোনো কল্পিত বদ্ধ তলের মধ্য দিয়ে অতিক্রান্ত মোট তড়িৎ ফ্লাক্সের epsilon not গুণ ঐ তল দ্বারা সীমাবদ্ধ চার্জের সমান।

Leave a Reply